পূর্বে সরাসরি বিসিএস নন ক্যাডার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হলেও ৩১ আগস্ট ২০২৫ এ প্রকাশিত সর্বশেষ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫ অনুযায়ী এখন থেকে সরাসরি নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে সাধারণ প্রার্থীরাও প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক পদে আবেদন করতে পারবেন।
আপনি যদি স্নাতক পাশ করে থাকেন এবং আপনার বয়স যদি হয় ৩২ এর মধ্যে তাহলে আপনিও মাত্র ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে হতে পারেন আপনার নিকটস্থ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পদটির অধিকারী।
কিন্তু তার জন্য আপনার প্রয়োজন একটি পরিপূর্ণ প্রস্তুতি। সর্বশেষ ২০১২ সালে এমন সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে প্রাথমিকের প্রাধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল বিধায় অনেকের মধ্যেই প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তুতি নিয়ে পরিপূর্ণ ধারণা নেই।
আর তাদের জন্যই আমাদের আজকের ব্লগ। বিদ্যাবাড়ি টিম আপনার জন্য খুঁজে এনেছে সেই সব তথ্য যা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তুতি শুরু করার জন্য জানা জরুরি।
আশাকরি আজকের এই ব্লগটি পড়লে আপনি প্রাইমারির প্রধান শিক্ষক পদে আবেদনের যোগ্যতা, পরীক্ষা পদ্ধতি, সিলেবাস ও মানবণ্টন, নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন শর্তাবলি, কীভাবে প্রস্তুতি নিবেন, প্রধান শিক্ষকদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা, প্রধান শিক্ষক পদে ভাইভা প্রস্তুতি সবকিছুই বিস্তারিত জানতে পারবেন।
প্রাইমারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি কীভাবে শুরু করবেন:
প্রথমেই একটি কার্যকর রুটিন তৈরি করুন।
আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী দৈনিক কত ঘণ্টা পড়াশোনা করবেন সেই টার্গেট নির্ধারণ করুন।
প্রাইমারির প্রধান শিক্ষক পদের পরীক্ষা পদ্ধতি, বিষয়ভিত্তিক মানবণ্টন, সিলেবাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
বিষয়ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো খুঁজে বের করুন।
অপ্রয়োজনীয় তথ্য পড়ে সময় নষ্ট করা যাবে না।
যেহেতু প্রায় ১৩ বছর পর সরাসরি প্রাইমারির প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ হচ্ছে সে কারণে এই নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সম্পর্কে অনেকেই জানেন না।
যদিও প্রাইমারির প্রধান শিক্ষক পরীক্ষা নতুন নিয়মে (সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০২৫ এর তফসিল-২ অনুযায়ী) হবে তবুও বিগত সালের প্রশ্নগুলো সমাধানের মাধ্যমে একজন চাকরি প্রার্থী প্রাইমারির প্রধান শিক্ষক পদের প্রশ্নের ধরণ ও বিষয়ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবেন।
বিদ্যাবাড়ির ফেসবুক পেইজ ও ওয়েবসাইটে বিগত প্রাইমারির প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন পাওয়া যাবে।
যেহেতু বাংলা ও ইংরেজি মিলিয়ে মোট ৫০ নম্বর তাই এই দুইটি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে সবচেয়ে বেশি।
তবে গণিত ও দৈনন্দিন বিজ্ঞান এবং সাধারণ জ্ঞানের জন্যও আলাদা সময় রাখতে হবে।
কোন বিষয়কে কম গুরুত্ব দেওয়া যাবে না।
সামনের কয়েকটি মাসকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে।
প্রাইমারির প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রতিটি বিষয়ে বিগত বিসিএস প্রাইমারি, শিক্ষক নিবন্ধন ও বিভিন্ন নন-ক্যাডার পদের বিগত ১০ সালের প্রশ্ন সমাধান করতে হবে।
প্রতিটি বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য নির্ধারত বোর্ড বই সহ বিষয় সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বইগুলো পড়তে হবে।
শুধু বোর্ড বই পড়লেই হবে না বরং সব বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ বাছাইকৃত কমন উপযোগী তথ্যগুলো একত্রে গুছিয়ে পড়ার জন্য একটি মানসম্পন্ন গাইড বই অনুসরণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে বাজারের বহুল প্রচলিত বিদ্যাবাড়িরপ্রাইমারি ডাইজেস্ট প্লাস বইটি পড়তে পারেন।
অনেকেই আছেন যারা সঠিক ভাবে বুঝতে পারেন না যে কি পড়বেন, কীভাবে শুরু করবেন, কীভাবে পড়বেন বা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টপিক আসলে কোনগুলো। এই পর্যায়ে আপনাদের সহায়তা জন্য বিদ্যাবাড়ি সবসময় আপনাদের পাশে আছে। দেশসেরা মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে এবং প্রাইমারির প্রধান শিক্ষক হিসেবে আপনার চাকরিটি নিশ্চিত করতে হলে নিতে হবে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি।
আর আপনাদের প্রাইমারির প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতির জন্য বিদ্যাবাড়ি নিয়ে এসেছে জন্য একটি বিশেষ কোর্স “প্রাইমারি প্রধান শিক্ষক Success লাইভ ব্যাচ” যেখানে ২০ বছরের অভিজ্ঞ শিক্ষকদের গাইডলাইন, নিয়মিত বাড়ির কাজ, বিশেষ সাজেশন ও লেকচার শিট, নিয়মিত পরীক্ষা এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত সঠিক দিক নির্দেশনা আপনার প্রাইমারির প্রধান শিক্ষক পদের প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট হবে।
সবশেষে, আপনার যেকোনো তথ্যের প্রয়োজনে বিদ্যবাড়ির ওয়েবসাইট, ফেসবুক, ইউটিউব চ্যানেলে সংযুক্ত থাকুন। সঠিক গাইডলাইন প্রদান করা সহ আপনার নিয়মিত পড়াশোনা নিশ্চিত করে আপনার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণে বিদ্যাবাড়ি হতে পারে আপনার অন্যতম সহায়ক।
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য:
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার যোগ্যতা:
সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা:
প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
বাংলাদেশের নাগরিক নয় এমন কোন ব্যক্তির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ বা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া যাবে না।
সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীর সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর।
যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে।
শিক্ষা জীবনে কোনো স্তরে তৃতীয় বিভাগ / শ্রেণি অথবা সমমানের জিপিএ গ্রহণযোগ্য হবে না।
পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা:
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতি:
সাধারণত দুইটি উপায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ হবে।
১। পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ:
এক্ষেত্রে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদ থেকে মৌলিক প্রশিক্ষণ ও চাকরি স্থায়িকরণ সহ ১২ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রার্থীরা পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন।
২। সরাসরি নিয়োগ:
সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯০ নম্বরের MCQ পরীক্ষা এবং ১০ নম্বরের মৌখিক/ভাইভা পরীক্ষা অর্থাৎ সর্বমোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রার্থীরা প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন।
এক্ষেত্রে ৮০% প্রার্থীকে পদোন্নতির মাধ্যমে এবং ২০% প্রার্থীকে সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে নিয়োগ প্রদান করার কথা উল্লেখ থাকলেও পদোন্নতির জন্য যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে শূন্য পদ পূরণের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, আমরা ব্লগের শুরুতেই যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে কথা বলেছি, অর্থাৎ ৩১ আগস্ট ২০২৫ এ প্রকাশিত হওয়া প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫ এ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করা হবে।
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সিলেবাস ও মানবণ্টন:
পরীক্ষার ধরণ | পরীক্ষার বিষয় | মোট নম্বর | সর্বনিম্ন পাস নম্বর | সময় |
MCQ টাইপ লিখিত পরীক্ষা | বাংলা | ২৫
|
৫০%
|
৯০ মিনিট |
ইংরেজি | ২৫
|
গণিত ও দৈনন্দিন বিজ্ঞান
| ২০
|
সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি)
| ২০
|
মৌখিক পরীক্ষা
|
১০ |
৫০% |
- |
সর্বমোট | ১০০ | - | - |
যেভাবে প্রাইমারির প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিবেন
প্রাইমারি প্রধান শিক্ষক পদে প্রস্তুতির প্রথম ধাপ হচ্ছে এই পরীক্ষার বিগত প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ, বিষয়ভিত্তিক সিলেবাস ও মানবণ্টন সম্পর্কে জানা, পরীক্ষা পদ্ধতি ও গুরুত্বপূর্ণ টপিক সম্পর্কে ধারণা অর্জন করা।
যেহেতু প্রায় ১৩ বছর পর সরাসরি প্রাইমারির প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ হচ্ছে সে কারণে এই নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সম্পর্কে অনেকেই জানেন না।
যদিও প্রাইমারির প্রধান শিক্ষক পরীক্ষা নতুন নিয়মে (সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০২৫ এর তফসিল-২ অনুযায়ী) হবে তবুও বিগত সালের প্রশ্নগুলো সমাধানের মাধ্যমে একজন চাকরি প্রার্থী প্রাইমারির প্রধান শিক্ষক পদের প্রশ্নের ধরণ ও বিষয়ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবেন।
যে কারণে প্রস্তুতির শুরুতেই আমরা চাকরিপ্রার্থীদের গুরুত্বের সাথে প্রাইমারির প্রধান শিক্ষক পদের বিগত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নগুলো ভালোমতো সমাধান করার পরামর্শ দিচ্ছি।
বিদ্যাবাড়ির ফেসবুক পেইজ ও ওয়েবসাইটে বিগত প্রাইমারির প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন পাওয়া যাবে।
যেহেতু বাংলা ও ইংরেজি মিলিয়ে মোট ৫০ নম্বর তাই এই দুইটি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে সবচেয়ে বেশি।
তবে গণিত ও দৈনন্দিন বিজ্ঞান এবং সাধারণ জ্ঞানের জন্যও আলাদা সময় রাখতে হবে।
কোনো বিষয়কে কম গুরুত্ব দেওয়া যাবে না।
সামনের কয়েকটি মাসকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে।
মাত্র ২টি ধাপ (MCQ Type লিখিত+ভাইভা) পার করতে পারলেই নন ক্যাডার পদের প্রাইমারির প্রধান শিক্ষকের সরকারি চাকরিটি নিশ্চিত করা সম্ভব। এজন্য লক্ষ্য থাকতে হবে শতভাগ।
প্রথমেই একটি কার্যকর রুটিন তৈরি করুন।
আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী দৈনিক কত ঘণ্টা পড়াশোনা করবেন সেই টার্গেট নির্ধারণ করুন।
বিষয়ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো খুঁজে বের করুন।
অপ্রয়োজনীয় তথ্য পড়ে সময় নষ্ট করা যাবে না।
প্রাইমারির প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রতিটি বিষয়ে বিগত বিসিএস প্রাইমারি, শিক্ষক নিবন্ধন ও বিভিন্ন নন-ক্যাডার পদের বিগত ১০ সালের প্রশ্ন সমাধান করতে হবে।
প্রতিটি বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য নির্ধারিত বোর্ড বই সহ বিষয় সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বইগুলো পড়তে হবে।
শুধু বোর্ড বই পড়লেই হবে না বরং সব বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ বাছাইকৃত কমন উপযোগী তথ্যগুলো একত্রে গুছিয়ে পড়ার জন্য একটি মানসম্পন্ন গাইড বই অনুসরণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে বাজারের বহুল প্রচলিত বিদ্যাবাড়ির প্রাইমারি ডাইজেস্ট প্লাস বইটি পড়তে পারেন।
অনেকেই আছেন যারা সঠিক ভাবে বুঝতে পারেন না যে কি পড়বেন, কীভাবে শুরু করবেন, কীভাবে পড়বেন বা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টপিক আসলে কোনগুলো। এই পর্যায়ে আপনাদের সহায়তার জন্য বিদ্যাবাড়ি সবসময় আপনাদের পাশে আছে। দেশসেরা মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে এবং প্রাইমারির প্রধান শিক্ষক হিসেবে আপনার চাকরিটি নিশ্চিত করতে হলে নিতে হবে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি।
আর আপনাদের প্রাইমারির প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতির জন্য বিদ্যাবাড়ি নিয়ে এসেছে জন্য একটি বিশেষ কোর্স “প্রাইমারি প্রধান শিক্ষক Success লাইভ ব্যাচ” যেখানে ২০ বছরের অভিজ্ঞ শিক্ষকদের গাইডলাইন, নিয়মিত বাড়ির কাজ, বিশেষ সাজেশন ও লেকচার শিট, নিয়মিত পরীক্ষা এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত সঠিক দিক নির্দেশনা আপনার প্রাইমারির প্রধান শিক্ষক পদের প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট হবে।
আপনার যেকোনো তথ্যের প্রয়োজনে বিদ্যবাড়ির ওয়েবসাইট, ফেসবুক, ইউটিউব চ্যানেলে সংযুক্ত থাকুন।
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক পদের বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি:
বাংলা অংশের প্রস্তুতি:
বাংলা ব্যাকরণ অংশের জন্য নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বই থেকে সিলেবাস অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো (যেমন-বানান শুদ্ধি, সমাস, বাগধারা ও প্রবাদ, শব্দ ও শব্দ প্রকরণ, ভাষা, ব্যাকরণ ও লিপি, পদ-প্রকরণ, ধ্বনি ও বর্ণ, সন্ধি, ণত্ব ও ষত্ব বিধান, বাক্যশুদ্ধি, কারক-বিভক্তি, শব্দার্থ,পারিভাষিক শব্দ, প্রতিশব্দ, বাক্য প্রকরণ, এক কথায় প্রকাশ, সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দ, উপসর্গ, অনুসর্গ, প্রকৃতি ও প্রত্যয়, ক্রিয়ার কাল, বিরাম চিহ্ন, দ্বিরুক্ত শব্দ, ক্রিয়াপদ ইত্যাদি) উদাহরণ সহ পড়ুন।
বাংলা সাহিত্য অংশের প্রাচীন, মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগের উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম ও সংগঠন-সমিতি (যেমন- চর্যাপদ, মঙ্গলকাব্য, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, বৈষ্ণব সাহিত্য, জীবনী সাহিত্য, অনুবাদ সাহিত্য, রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান, আরকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্য, টপ্পা গান, উল্লেখযোগ্য পৃষ্ঠপোষক, নাথ সাহিত্য, পুঁথি সাহিত্য, কবিওয়ালা-শাঁয়ের, জঙ্গনামা, মর্সিয়া সাহিত্য, ডাক ও খনার বচন, লোক সাহিত্য, গীতিকা, যুগ সন্ধিক্ষণ ও ঈশ্বরচন্দ্রগুপ্ত, বাংলা গদ্যের উৎপত্তি ও বিকাশ, ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ, উইলিয়াম কেরি, রামরাম বসু, হিন্দু কলেজ ও ইয়ংবেঙ্গল, বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি, ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ ইত্যাদি), কবি সাহিত্যিক ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানুন।
পাশাপাশি পিএসসি নির্ধারিত ১১ জন কবি সাহিত্যিক সম্পর্কে জানুন, বাংলা সাহিত্যের পঞ্চপাণ্ডব সম্পর্কে জানুন, বাংলা সাহিত্যের সকল যুগের উল্লেখযোগ্য কবি-সাহিত্যিকদের সম্পর্কে জানুন, পত্রপত্রিকা, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত গ্রন্থ ও চলচ্চিত্র ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন।
বাংলা ব্যাকরণ ও সাহিত্য অংশের গোছালো প্রস্তুতির জন্যপ্রাইমারি ডাইজেস্ট প্লাস বইটি অনুসরণ করুন।
English Grammar & Literature অংশের প্রস্তুতি:
English Grammar এর গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো (যেমন-Noun, Article, Determiner, Number, Gender, Pronoun, Adjective, Degree, Verb, Tense, Right form of Verb, Adverb, Preposition, Conjunction, Interjection, Subject-Verb Agreement, Sentence, Transformation of Sentences, Correction, Clause, Conditional, Voice, Narration, Tag Question) থেকে যে Rules গুলো বেশি কমন এবং যেগুলো থেকে বেশি প্রশ্ন আসে সেই Rules এবং Examples গুলো বেশি বেশি প্র্যাকটিস করতে হবে।
ইংরেজি সাহিত্যের বিভিন্ন যুগের (যেমন- Old English, Middle English, Elizabethan, Romantic, Victorian ও Modern Period) কবি সাহিত্যিকদের নাম ও তাদের উল্লেখযোগ্য সৃষ্টিকর্ম সম্পর্কে পড়ুন।
ইংরেজি সাহিত্যের বিখ্যাত কবি সাহিত্যিকদের (যেমন-William Shakespeare, John Milton, Alexander Pope, Henry Fielding, Jonathan Swift, William Wordsworth, S.T.Coleridge, Percy Bysshe Shelley, John Keats, Charles Dickens, George Eliot, George Bernard Shaw, W. B. Yeats, T. S. Eliot, Ernest Hemingway ইত্যাদি) বিভিন্ন বিখ্যাত সব গ্রন্থ, উপন্যাস ও নাটকের বিভিন্ন চরিত্র সম্পর্কে জানুন।
English Grammar & Literature অংশের প্রস্তুতির জন্য বাজারের ব্যাপক চাহিদা সম্পন্ন বিদ্যাবাড়িরClassroom MCQ English বইটি অনুসরণ করুন।
গণিত অংশের প্রস্তুতি:
গণিতে ভালো করার ক্ষেত্রে নিয়মিত অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই।
৭ম-৮ম ও ৯ম-১০ম (সাধারণ ও উচ্চতর গণিত) শ্রেণির বোর্ড বই থেকে প্রাইমারির সিলেবাস অনুযায়ী পাটিগণিত, বীজগণিত ও জ্যামিতির গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে হবে।
পাটিগণিতের জন্য সংখ্যার ধারণা, অনুপাত-সমানুপাত ও মিশ্রণ, সুদকষা, লাভ-ক্ষতি, ল.সা.গু-গ.সা.গু, শতকরা, বয়স, ভগ্নাংশ, সময়-দূরত্ব ও গতিবেগ, ধারা, গড়, বর্গমূল, ঐকিক নিয়ম, কাজ-সময়, নল-চৌবাচ্চা, বিন্যাস-সমাবেশ-সম্ভাব্যতা, পরিসংখ্যান ইত্যাদি টপিকগুলো থেকে নিয়মিত গণিত অনুশীলন করতে হবে।
বীজগণিত অংশে মান নির্ণয়, সরল সহ-সমীকরণ, সরল ও দ্বিপদী সমীকরণ, বীজগাণিতিক রাশিমালার যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ, সূচক ও লগারিদম, সরল ও দ্বিপদী অসমতা, উৎপাদকে বিশ্লেষণ, বীজগাণিতিক ল.সা.গু-গ.সা.গু, সেট ও ফাংশন, সমান্তর ও গুণোত্তর অনুক্রম ও ধারা, মানসিক দক্ষতা, কার্তেসীয় জ্যামিতি, পরিমিতি ও ত্রিকোণমিতি ইত্যাদি টপিকগুলো গুরুত্বপূর্ণ।
জ্যামিতি অংশের জন্য রশ্মি-রেখা ও কোণ প্রভৃতি সংক্রান্ত জ্যামিতির মৌলিক ধারণা, ত্রিভুজ, বর্গক্ষেত্র, আয়তক্ষেত্র, রম্বস, বৃত্ত, ট্রাপিজিয়াম,ঘনবস্তু, বহুভুজ ইত্যাদি টপিকগুলো গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটি সময় গণিত অনুশীলনের জন্য রাখুন।
পরীক্ষায় গণিত অংশে টাইম ম্যানেজমেন্টের জন্য গণিতের শর্টকাট টেকনিকগুলো শিখুন।
গণিত অংশের গোছালো প্রস্তুতির জন্য বিদ্যাবাড়ির প্রাইমারি ডাইজেস্ট প্লাস বইটি অনুসরণ করুন।
দৈনন্দিন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশের প্রস্তুতি:
দৈনন্দিন বিজ্ঞানের বিষয়গুলো (যেমন- পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন ও বস্তুর উপর তাপের প্রভাব, বৈজ্ঞানিক যন্ত্র ও ব্যবহার বল, জড়তা ও কাজ, চুম্বক ও চুম্বকত্ব, ধাতব ও অধাতব যৌগসমূহ এবং তাদের ব্যবহার, দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুৎ, ট্রান্সফর্মার, ডায়োড, ট্রানজিস্টর, আইসি (IC), অণু ও পরমাণু, বায়ুমণ্ডল বিভিন্ন প্রকার গ্যাস ও জ্বালানি জৈব ও অজৈব যৌগের ব্যবহার শক্তির উৎস ও রূপান্তর, তেজস্ক্রিয়তা, নিউক্লিয় শক্তি, X-ray ও অন্যান্য রশ্মির ব্যবহার নবায়নযোগ্য ও অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস এসিড, ক্ষারক ও লবণ আলো, শব্দ ও তরঙ্গ দৃষ্টি সহায়ক যন্ত্র, দর্পণ ও লেন্সের ব্যবহার উদ্ভিদ বিজ্ঞান, সালোক সংশ্লেষণ বিভিন্ন আবিষ্কার ও আবিষ্কারক, জেনেটিক্স মানবদেহ, শ্বসনতন্ত্র রেচনতন্ত্র, খাদ্য ও পুষ্টি খাদ্যের উপাদান, রোগব্যাধি ও চিকিৎসা বিভিন্ন প্রকার কালচার) ভালোমত পড়ুন।
৭ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান বোর্ড বই সহ পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের টপিকগুলো ৯ম-১০ম শ্রেণির সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বোর্ড বই থেকে পড়ুন।
দৈনন্দিন বিজ্ঞান অংশে কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশটিকেও গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো (যেমন- কম্পিউটারের মৌলিক তথ্য ও অঙ্গসংগঠন, গাণিতিক যুক্তি ইউনিটের কাজ, কম্পিউটার পেরিফরালস: ইনপুট ডিভাইস, আউটপুট ডিভাইস, কম্পিউটারের মেমোরি ও কম্পিউটার সফটওয়্যার, ইউটিলিটি সফটওয়্যার, প্যাকেজ সফটওয়্যার স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম, এম এস এক্সেল (MS Excel), ওয়ার্কশিট ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার, প্রেজেন্টেশন সফটওয়্যার, বিখ্যাত কিছু ওয়েব ব্রাউজার সফটওয়্যার, বাংলা ওয়ার্ড প্রসেসিং ফন্ট, বাংলা কী-বোর্ড অপারেটিং সিস্টেম, ক্লোজড সোর্স বা প্রোপ্রাইটরি অপারেটিং সিস্টেম মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের বিভিন্ন শর্টকাট কী(Shortcut Key), ফাইল এক্সটেনশন ফরম্যাট এন্টিভাইরাস (Antivirus), কম্পিউটার ভাইরাস, বিভিন্ন ধরণের ভাইরাসের নাম, ফায়ারওয়াল, ইন্টারনেট, ইন্টারনেট প্রটোকল অ্যাড্রেস (IP Address), WWW (World Wide Web), URL, HTML, HTTP, Web Page, Home Page, Search, Bookmark, Cookie, বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন ও উৎপত্তি দেশ, ই-মেইল (E-mail), দৈনন্দিন জীবনে তথ্যপ্রযুক্তি, ব্যবহারিক ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক(PAN, LAN,MAN,WAN), নেটওয়ার্ক ডিভাইস(Modem), নেটওয়ার্ক টপোলজি, তারবিহীন মাধ্যম, সোস্যাল নেটওয়ার্কিং(Facebook, LinkedIn, Twitter, Instagram), সাইবার ক্রাইম, সাইবার বুলিং, ফিশিং, হ্যাকিং, স্পুফিং, প্লেজিয়ারিজম, VPN (Virtual Private Network), কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা(AI), কম্পিউটার সম্পর্কিত বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানসমূহ: IBM(Big Blue), মাইক্রোসফট (Microsoft), ইনটেল কর্পোরেশন (Intel Corporation), গুগল (Google Incorporated), অ্যাপল ইনেকর্পোরেটেড, বাংলাদেশে কম্পিউটারের বিবর্তন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ইত্যাদি) ভালোমত পড়তে হবে।
প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান রচিত একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বইটি থেকে কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো পড়ে ফেলুন।
দৈনন্দিন বিজ্ঞান অংশে ভূগোল ও পরিবেশ অংশ থেকেও প্রশ্ন থাকতে পারে। সুতরাং এখানে সাজেশন ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো (যেমন-সৌরজগৎ, গ্রহ সংখ্যা, নিকটতম গ্রহ, সবুজ গ্রহ, পৃথিবীতে প্রাণের সূচনা, মহাকাশ ও মহাবিশ্ব, মহাবিশ্ব ও আমাদের পৃথিবী, নক্ষত্র, নক্ষত্রমণ্ডলী, গ্যালাক্সি, নীহারিকা, ছায়াপথ, উল্কা, ধূমকেতু, উপগ্রহ, কৃত্রিম উপগ্রহ, সূর্য, বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন, পৃথিবীর আকার-আকৃতি), বায়ুমণ্ডল, আহ্নিক ও বার্ষিক গতি( আহ্নিক গতির ফল, বার্ষিক গতির ফল, ঋতু পরিবর্তনের কারণ), তারিখ ও সময় (অক্ষরেখা, দ্রাঘিমারেখা, অক্ষাংশ নির্ণয় দ্রাঘিমা নির্ণয়, গ্রিনিচমান, নিরক্ষরেখা, কর্কটক্রান্তি ও মকরক্রান্তি রেখা, সুমেরু ও কুমেরুবৃত্ত, আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা, প্রতিপাদ স্থান, GIS( Geographic Information System), জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশের উপর প্রভাব, প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগের কারণ ও ফলাফল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন ধাপ (প্রশমন, প্রস্তুতি, প্রতিক্রিয়া এবং পুনরুদ্ধার), বাংলাদেশ ও অঞ্চলভিত্তিক ভৌগোলিক অবস্থান) পড়ুন।
পরীক্ষায় সরাসরি প্রশ্ন কমন পেতে বিসিএস, নন ক্যাডার, শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রাইমারি সহ বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় আসা দৈনন্দিন বিজ্ঞানের প্রশ্নগুলো পড়ুন।
সাধারণ জ্ঞান অংশের প্রস্তুতি:
বাংলাদেশ বিষয়াবলি:
বাংলাদেশ বিষয়াবলির গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো (যেমন- বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, সীমারেখা ও ভূ-প্রকৃতি, প্রাচীন বাংলার ইতিহাস, ব্রিটিশ শাসনামল, মধ্যযুগীয় শাসনামল, ১৯৪৭-৭১ (পাকিস্তান শাসনামল), মুক্তিযুদ্ধ পূর্বকালীন ও পরবর্তী ইতিহাস, জাতীয় বিষয়াবলি, সংবিধান, জাতীয় সংসদ, আইন সভা ও আইন প্রণয়ন, বর্তমান প্রশাসনিক কাঠামো, বিচার বিভাগ, বাংলাদেশের নদ-নদী, খেলাধুলা, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, জাতীয় অর্জন, জি-আই পণ্য, মেগা প্রজেক্ট, সঙ্গীত ও রচয়িতা, অর্থনৈতিক সমীক্ষা, শিল্প-বাণিজ্য-অর্থনীতি, শিল্প উৎপাদন, বৈদেশিক লেনদেন ও অর্থ প্রেরণ, ব্যাংক ও বীমা ব্যবস্থাপনা, দেশের বৃহত্তম-ক্ষুদ্রতম-উচ্চতম,গোষ্ঠী ও উপজাতি সংক্রান্ত, জনশুমারি-কৃষিশুমারি বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্পদ, বাজেট, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা সমূহ, জাতীয় পুরস্কার, খেলাধুলা, চলচ্চিত্র, তথ্য প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ, বাংলাদেশের সমুদ্র বিজয়, জাতীয় দিবস সমূহ, সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি, জুলাই বিপ্লব-২০২৪) ভালোমত পড়ুন।
সাধারণ জ্ঞানের বাংলাদেশ বিষয়াবলি প্রস্তুতির জন্য ৭ম-৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং ৯ম-১০ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বসভ্যতা বোর্ড বইটি পড়ুন।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস, সংবিধান প্রস্তাবনা ও বৈশিষ্ট্য, মৌলিক অধিকারসহ রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিসমূহ, সংবিধানের সংশোধনীসমূহ, বাংলাদেশ সরকার ও প্রশাসনিক কাঠামো, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা কাঠামো ইত্যাদি টপিকগুলো প্রফেসর মো: মোজাম্মেল হক রচিত একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর পৌরনীতি ও সুশাসন ২য় পত্র বই থেকে পড়তে পারেন।
নিয়মিত পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ পাতা সমূহ যেমন- জাতীয়, আন্তর্জাতিক, সম্পাদকীয়, বিনোদনও খেলাধুলার পাতা খুব ভালোমত পড়তে হবে।
পত্রিকার পাতা থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নোট করে রাখতে হবে।
পত্রিকার সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য একনজরে দেখতে বিদ্যাবাড়ির নিয়মিত আয়োজন ‘পত্রিকার পাতা’ থেকে অনুসরণ করা যেতে পারে।
পরীক্ষায় সরাসরি প্রশ্ন কমন পেতে বিসিএস, প্রাইমারি, নন-ক্যাডার ও শিক্ষক নিবন্ধন সহ বিগত বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে আসা প্রশ্ন গুলো ব্যাখ্যা সহ পড়তে হবে।
সাধারণ জ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ সাম্প্রতিক তথ্যগুলো প্রতি মাসের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স থেকে পড়ুন।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি:
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো (যেমন- পৃথিবীর অঞ্চল পরিচিতি, বিভিন্ন মহাদেশ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, আন্তর্জাতিক সংস্থা, সদর দপ্তর, SDG, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রিপোর্ট ও ব্যাংকিং, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তি ও সনদ, সামরিক জোট, বিভিন্ন সংস্থার ধরণ-প্রতিষ্ঠাকাল-সদস্য সংখ্যা, আন্তর্জাতিক দিবস, জাতিপুঞ্জ, জাতিসংঘ, জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থাসমূহ, আঞ্চলিক ও অর্থনৈতিক জোট এবং প্রতিষ্ঠান, ইউনেস্কো, যুক্তরাষ্ট্র, বিভিন্ন সভ্যতা-নিদর্শন-অবদান, সীমারেখা, প্রণালি, বিরোধপূর্ণ দ্বীপ-ভূখণ্ড, গোয়েন্দা সংস্থা, আন্তর্জাতিক নদী, সাগর-মহাসাগর, হ্রদ, জলপ্রপাত, ভৌগোলিক উপনাম, রাজধানী, বিখ্যাত স্থান-শহর, মুদ্রা, গ্রন্থ-চিত্রকর্ম, সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থা, বিমানবন্দর ও বিমান সংস্থা, আন্তর্জাতিক দিবস, বিখ্যাত উক্তি, পুরস্কার ও সম্মাননা, আদিবাসী, স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র, সুনীল অর্থনীতি, গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ সমূহ, আলোচিত বিপ্লব, পরিবেশ সম্পর্কিত সম্মেলন, চুক্তি ও সনদ; আন্তর্জাতিক পরিবেশগত কূটনীতি, সাম্প্রতিক বিভিন্ন তথ্য) যেকোনো একটি ভালো বই থেকে পড়তে হবে।
পাশাপাশি নিয়মিত পত্রিকা পড়া জরুরী। বিশেষ করে পত্রিকার পাতা থেকে আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ সাম্প্রতিক ইস্যুগুলো নোট করে রাখতে হবে।
প্রতিমাসের গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সাম্প্রতিক তথ্যগুলো প্রতি মাসের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স থেকে পড়ুন।
পরীক্ষায় সরাসরি প্রশ্ন কমন পেতে বিসিএস, প্রাইমারি, নন-ক্যাডার ও শিক্ষক নিবন্ধন সহ বিগত বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি থেকে আসা প্রশ্ন গুলো ব্যাখ্যা সহ পড়তে হবে।
আরও দেখুন: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তুতি যেভাবে শুরু করবেন - এক্সপার্ট টিপস
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ভাইভা পরীক্ষার প্রস্তুতি:
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীগণ মৌখিক পরীক্ষার জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন।
প্রাইমারির প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ভাইভা মোট ১০ নম্বরের যেখানে পাস নম্বর হবে ৫।
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক এই ভাইভা পরীক্ষা নেওয়া হবে।
প্রাইমারির প্রধান শিক্ষক একটি নন-ক্যাডার পদ মর্যাদার চাকরি হওয়ায় এর ভাইভা হবে অনেক মানসম্পন্ন।
ভাইভা বোর্ডে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ থাকতে পারেন।
ভাইভা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র আগেই যথেষ্ট সময় নিয়ে গুছিয়ে ফেলতে হবে।
কোন কাজ ভাইভা পরীক্ষার দিনের জন্য ফেলে রাখবেন না।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ভাইভা পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ড্রেস আপ আগে থেকেই ঠিক করে রাখা।
ছেলেরা ফর্মাল শার্ট-প্যান্ট, স্যুট, টাই পড়তে পারেন এবং মেয়েরা শাড়ী অথবা থ্রি-পিস পড়বেন তবে শাড়ী পড়তে পারলেই বেশি ভালো।
ছেলেরা জিন্স অথবা কোন প্রকার রং চংয়ে শার্ট প্যান্ট পড়া থেকে বিরত থাকুন এবং মেয়েরা অতিরিক্ত সাজগোজ ও ভারি অলংকার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
ভাইভা বোর্ডে একজন প্রার্থীর প্রবেশ, আসন গ্রহণ, আচার আচরণ, ড্রেস-আপ, বসার ধরণ, কথাবার্তার ধরণ এমনকি ভাইভা বোর্ড থেকে তার বের হয়ে যাওয়ার বিষয়টিও লক্ষ্য করা হয়।
ভাইভা বোর্ডে মার্জিত ভাবে প্রবেশ করুন, সালাম দিন এবং বসতে বললে বসুন। কোনো একজনের প্রতি যেন আপনার ফোকাস না হয় বরং সবার প্রতি আপনার মনোযোগ দিতে হবে।
বসার ব্যাপারে গুরুত্ব দিন। হেলেদুলে বসবেন না।
আপনার নাম, ঠিকানা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে স্পষ্ট ভাবে সেগুলোর উত্তর দিন।
একটি কমন প্রশ্ন হচ্ছে আপনার নিজের সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে। এটি বাংলা বা ইংরেজি দুই ভাষাতেই হতে পারে। সেক্ষেত্রে আগে থেকেই আপনার নিজের সম্পর্কে সুন্দর করে বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই উত্তর সাজিয়ে রাখুন।
নিজের সম্পর্কে বলতে বললে প্রথমে আপনার পড়াশোনা, যদি পূর্ব চাকরির অভিজ্ঞতা থাকে বা কোন চাকরিতে বর্তমানে নিয়োজিত আছেন সেটি, পাশাপাশি কোন বিষয়ে আপনার দক্ষতা থাকলে সেগুলো আগে বলুন এবং শেষের দিকে পরিবার ও আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সম্পর্কে অল্প বিস্তর বলুন।
কি কারণে শিক্ষকতা পেশায় আসতে চান সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে সুতরাং আগে থেকেই গুছিয়ে উত্তর সাজিয়ে রাখুন।
প্রাথমিক শিক্ষার বিভিন্ন স্তর ও উদ্দেশ্য, প্রাথমিক শিক্ষার পদ্ধতি ও পাঠ্যক্রম, মানসম্মত শিশুশিক্ষা নিশ্চিত করণ সহ শিশু মনোবিজ্ঞান সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
একজন প্রধান শিক্ষকের কী কী দায়িত্ব রয়েছে, প্রধান শিক্ষকের কাজের পরিধি, মান সম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করণে প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা ইত্যাদি সম্পর্কে জানুন।
দেশের মোট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা, প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক, চেয়্যারমান সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নাম গুলো জানুন।
বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতির জন্য আপনার লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি কাজে আসবে। লিখিত পরীক্ষার বিষয়গুলো রিভিশন করুন।
নিজের অ্যাকাডেমিক বিষয় সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য জেনে রাখুন।
সাম্প্রতিক নানা তথ্য বা ইস্যু, ইংরেজি ট্রান্সলেশন, গণিতের কিছু সূত্রাবলি বা শর্টকাট টেকনিক, বিভিন্ন দেশের রাজধানী ও মুদ্রা, বিভিন্ন সদর দপ্তর, নিজের দেশের বিভিন্ন স্থাপনা, বীরশ্রেষ্ঠ, নিজ জেলা উপজেলার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, দর্শনীয় স্থান ও পণ্য, মুক্তিযোদ্ধা ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। সাথে মুখে মুখেই গণিতের টুকটাক কিছু সমস্যা সমাধান করতে বলা হতে পারে।
নিজের নামের অর্থ এবং নামের সাথে মিল রয়েছে এমন কোন বিখ্যাত ব্যক্তি ইত্যাদি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হতে পারে। তাই এ সম্পর্কে ভালোমতো ধারণা রাখুন।
ভাইভাটি ৫-১০ মিনিট ব্যাপী হতে পারে।
ভাইভায় যে প্রশ্নের উত্তরটি আপনার জানা আছে সেটির উত্তর দিন আর উত্তর না জানা থাকলে মার্জিত ভাবে আপনার অপারগতা প্রকাশ করুন।
কথার ভাষায় কোন আঞ্চলিকতা প্রকাশ না পাওয়াই ভালো।
কোনো প্রকার অনুমাননির্ভর কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
বোর্ড সদস্যদের সাথে কোনো মতানৈক্য করবেন না।
কোনো প্রকার রাজনৈতিক মন্তব্য বা দর্শন প্রকাশ করবেন না।
ভাইভা শেষে ধন্যবাদ ও সালাম দিয়ে ভাইভা বোর্ড ত্যাগ করুন।
প্রাইমারির প্রধান শিক্ষক পদে ভাইভা পরীক্ষার জন্য যেসব কাগজপত্র প্রদান করতে হবে:
শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রমাণের জন্য বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় হতে অর্জিত সকল সনদ (এস.এস.সি/ এইচএসসি/ডিপ্লোমা/ স্নাতক/স্নাতকোত্তর/ সমমানের মূল বা সাময়িক সনদ) এর সত্যায়িত ফটোকপি।
মূল সনদের ফটোকপি প্রদানে অপারগ হলে সাময়িক সনদের ফটোকপি গৃহীত হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণস্বরূপ বিশ্ববিদ্যালয় বা সর্বশেষ পরীক্ষার মার্কশিট প্রাথমিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে তবে সাক্ষাৎকার বোর্ডে মূল/সাময়িক সনদ অবশ্যই দাখিল করতে হবে।
চার বছর মেয়াদি স্নাতক/স্নাতক সম্মান ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের জমাকৃত সনদ/মার্কশিট/টেস্টিমোনিয়াল-এ যদি অর্জিত ডিগ্রির মেয়াদ ৪ বছর সুস্পষ্ট উল্লেখ না থাকে সেক্ষেত্রে অর্জিত ডিগ্রি ৪ বছর মেয়াদি মর্মে বিভাগীয় প্রধান/পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক/রেজিস্টার কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্রের সত্যায়িত কপি আবেদনপত্রের সাথে অবশ্যই জমা দিতে হবে। অন্যথায়, তাদের অর্জিত ডিগ্রি ৩ বছর মেয়াদি হিসেবে গণ্য করা হবে;
বয়স প্রমাণের জন্য শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত এসএসসি/সমমানের মূল/সাময়িক সনদের সত্যায়িত কপি; "ও" লেভেল এবং "এ" লেভেল ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে জন্ম তারিখ সংবলিত দালিলিক প্রমাণ জমা দিতে হবে। বয়স প্রমাণের জন্য এফিডেভিট গ্রহণযোগ্য হবে না;
বিদেশ থেকে অর্জিত ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ইকুইভ্যালেন্স কমিটি/শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত ইকুইভ্যালেন্স সনদের সত্যায়িত ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);
আবেদনকারীর স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তিত হলে পরিবর্তিত স্থায়ী ঠিকানার সপক্ষে প্রামাণ্য সনদের সত্যায়িত কপি;
অভিজ্ঞতার সনদ জমাদানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পদের স্কেল/গ্রেড, চাকরিতে যোগদান এবং পরিত্যাগের সুষ্পষ্ট তারিখসহ মেয়াদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এনডোর্সকৃত/পৃষ্ঠাংকনকৃত আর্টিকেল-৪৭ ফরম), চাকরি চলমান থাকলে বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনপত্র জমাদানের শেষ তারিখে অভিজ্ঞতা গণনাপূর্বক যথাযথ কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত অভিজ্ঞতার সনদপত্র জমাপ্রদান করতে হবে। ছাড়পত্রের কপি অভিজ্ঞতার সনদ হিসেবে বিবেচিত হবে না;
জাতীয় পরিচয়পত্রের (NID) সত্যায়িত কপি;
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত সর্বশেষ সার্কুলার অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধার বয়সের প্রমাণক/ডকুমেন্টস (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);
লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্রের কপি;
প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক জারীকৃত প্রতিবন্ধী সনদ/পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);
০৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের সদ্য তোলা সত্যায়িত রঙ্গিন ছবি;
নাগরিকত্ব সনদের সত্যায়িত কপি;
অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণের শেষ তারিখ অর্থাৎ ২০.১০.২০২৫ তারিখের মধ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত আবেদনপত্র জমাপ্রদানের শেষ তারিখে অর্জিত অর্থাৎ সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জনের শেষ তারিখ অথবা তারপূর্বে অর্জিত শিক্ষাগত যোগ্যতা সংবলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্র।
প্রার্থী কর্তৃক আবেদনপত্রে উল্লিখিত স্থায়ী ঠিকানা পরবর্তীতে পরিবর্তিত হলে কিংবা মহিলা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে স্বামীর ঠিকানা ব্যবহার করা হলে প্রার্থীকে পরিবর্তিত স্থায়ী ঠিকানার সপক্ষে প্রাক্তন এবং বর্তমান সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র/কাউন্সিলর/পৌর মেয়র/ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/নোটারি পাবলিক কর্তৃক স্বাক্ষরিত সনদপত্র।
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীগণ Applicant's Copy (BPSC Form-5A) সহ প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র/তথ্যাদি কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের মধ্যে জমা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের প্রার্থিতা বাতিল হবে এবং তারা মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
Applicant's Copy (BPSC Form-5A) সহ প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র/তথ্যাদি পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাইয়ের পর শুধু যোগ্য প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে।
অনলাইন আবেদনপত্রের (BPSC Form-5A) উল্লিখিত স্থায়ী জেলা সঠিক হতে হবে। এক্ষেত্রে ভুল তথ্য প্রদানের জন্য প্রার্থিতা/মনোনয়ন বাতিল হবে। অনলাইনে পূরণকৃত Applicant's Copy (BPSC Form-5A) এর তথ্য সঠিক হিসেবে পরিগণিত হবে।
BPSC Form-5A (Applicant's Copy) জমাপ্রদানের শেষ তারিখের পর Applicant's Copy তে কোনো ধরণের তথ্য সংশোধনের আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
প্রার্থীকে কেবল কমিশনের অনুমোদিত অনলাইন আবেদনপত্র (BPSC Form-5A) পূরণ করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। মুদ্রিত আবেদনপত্র জমাদানের কোনো সুযোগ নেই।
প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তুতির বিষয়ভিত্তিক বুকলিস্ট
বাংলা ব্যাকরণ ও সাহিত্য বিষয়ের জন্য বইয়ের তালিকা:
বাংলা ব্যাকরণ অংশের জন্য ৯ম-১০ম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্র বোর্ড বই।
লাল নীল দীপাবলি – হুমায়ুন আজাদ।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা- ড. সৌমিত্র শেখর/ শীকর বাংলা ভাষা ও সাহিত্য-মোহসীনা নাজিলা/বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (প্রাচীন, মধ্য ও আধুনিক যুগ)-মাহবুবুল আলম।
বাংলা সাহিত্য অংশের জন্য (বিশেষত কবি ও সাহিত্যিকদের জীবনী সম্পর্কে জানতে) ৯ম-১০ম শ্রেণির বাংলা সাহিত্য বোর্ড বই।
বিদ্যাবাড়ির প্রাইমারি ডাইজেস্ট প্লাস বই।
English Grammar & Literature বিষয়ের জন্য বইয়ের তালিকা:
English Grammar প্রস্তুতির জন্য বিদ্যাবাড়িরClassroom MCQ English
English Literature অংশের প্রস্তুতির জন্য An ABC of English Literature – Dr M Mofizar Rahman
English Grammar & Literature সম্পূর্ণ অংশের গোছালো প্রস্তুতির জন্য বিদ্যাবাড়ির প্রাইমারি ডাইজেস্ট প্লাস বইটি পড়বেন।
গণিত বিষয়ের জন্য বইয়ের তালিকা:
পাটিগণিত, বীজগণিত ও জ্যামিতির গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলোর জন্য ৭ম-৮ম ও ৯ম-১০ম (সাধারণ ও উচ্চতর গণিত) শ্রেণির বোর্ড বই।
গণিত অংশের গোছালো প্রস্তুতির জন্য বিদ্যাবাড়িরপ্রাইমারি ডাইজেস্ট প্লাস বই।
দৈনন্দিন বিজ্ঞান বিষয়ের জন্য বইয়ের তালিকা:
৭ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান বোর্ড বই।
৯ম-১০ম শ্রেণির পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান বোর্ড বই।
প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান রচিত একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বোর্ড বই।
দৈনন্দিন বিজ্ঞানের সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো একত্রে গুছিয়ে পড়ার জন্য বিদ্যাবাড়িরপ্রাইমারি ডাইজেস্ট প্লাস বই।
সাধারণ জ্ঞান বিষয়ের জন্য বইয়ের তালিকা:
বাংলাদেশ বিষয়াবলি:
নিয়মিত পত্রিকা থেকে জাতীয়, আন্তর্জাতিক, সম্পাদকীয়, বিনোদন, খেলাধুলার পাতা থেকে সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও ইস্যু ।
বাংলাদেশ বিষয়াবলির মৌলিক বিষয়গুলো থেকে বাছাইকৃত গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো পড়ার জন্য বিদ্যাবাড়িরপ্রাইমারি ডাইজেস্ট প্লাস বই।
প্রতি মাসের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
৭ম-৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং ৯ম-১০ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বসভ্যতা বোর্ড বই।
প্রফেসর মো: মোজাম্মেল হক রচিত একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর পৌরনীতি ও সুশাসন ২য় পত্র বোর্ড বই।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি:
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলোর জন্য বিদ্যাবাড়িরপ্রাইমারি ডাইজেস্ট প্লাস বই।
বিদ্যাবাড়ির নিয়মিত আয়োজন ‘পত্রিকার পাতা’ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
নিয়মিত পত্রিকা থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ইস্যু।
প্রতিমাসের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স থেকে আন্তর্জাতিক সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের সুযোগ সুবিধা:
মূল বেতন- ১১তম গ্রেড (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) এর জন্য ১২,৫০০ টাকা এবং ১২তম গ্রেড (প্রশিক্ষণবিহীন) এর জন্য ১১,৩০০ টাকা।
বাড়িভাড়া- এলাকা ভেদে ৪৫%-৬০%
চিকিৎসা ভাতা-১৫০০ টাকা
উৎসব ভাতা-প্রতি বছর মূলবেতনের সমপরিমাণ ২টি
নববর্ষ ভাতা- প্রতি বছর ১ বার (২০% হারে)
প্রতিবছর জুলাই মাসে ৫% হারে বেতন বৃদ্ধি
প্রতিবছর মূল বেতনের ১৫% সরকারি বিশেষ প্রণোদনা/সুবিধা পাবেন।
দুই সন্তানের শিক্ষার জন্য সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা শিক্ষা সহায়ক ভাতা
হাওড় অঞ্চলে কর্মরতদের জন্য হাওড়া ভাতা
পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন ও বিভিন্ন পরীক্ষার ইনভিজিলেটর হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য বিভিন্ন ভাতা।
চাকরিজীবন শেষে পেনশন সহ বিভিন্ন আর্থিক সুযোগ সুবিধা।
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড প্রদান:
দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। ২৮ জুলাই, ২০২৫ইং তারিখে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
এতে সারাদেশের ৬৫ হাজার ৫০২ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল বিদ্যমান ১১তম গ্রেড (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) এবং ১২তম গ্রেড (প্রশিক্ষণবিহীন) থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অনুসারে প্রথমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বিদ্যমান ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে বেতন স্কেল উন্নীত করার সিদ্ধান্ত হয়।
এর ধারাবাহিকতায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ যৌক্তিক বিবেচিত হওয়ায় সরকার সারাদেশে ৬৫ হাজার ৫০২ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল বিদ্যমান ১১তম গ্রেড (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) এবং ১২তম গ্রেড (প্রশিক্ষণবিহীন) থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণে সম্মতি প্রদান করেছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার ঘোষণার পর প্রধান শিক্ষকদের বেতন ও বিভিন্ন ধরনের ভাতা কত টাকা বাড়বে (প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রস্তাবনা অনুযায়ী) তা নিচে উল্লেখ করা হলো:
প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে পদোন্নতি হলে যে পরিমাণ বেতন ভাতা বাড়বে:
দেশের ৬৫ হাজার ৫০২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে কর্মরত প্রধান শিক্ষকের সংখ্যা ৩১ হাজার ৩৯৬ জন। তাদের মধ্যে ১২তম গ্রেডে বেতন পান ১ হাজার ১৫৪ জন এবং ১১তম গ্রেড পান ১৩ হাজার ৮৫৪ জন। বাকি ১৬ হাজার ৩৮৮ জন অষ্টম, নবম ও দশম গ্রেডে আগেই উন্নীত হয়েছেন। তারা এখন উচ্চতর গ্রেড পাচ্ছেন।
বর্তমানে ১২তম গ্রেডে কর্মরত (১,১৫৪ জন) প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হলে তারা-
মূল বেতন বেশি পাবেন ৪ হাজার ৭০০ টাকা
বাড়িভাড়া বাড়বে (গড়ে ৪২ শতাংশ ধরে) ১ হাজার ৬৩৫ টাকা
বিশেষ সুবিধা ভাতা বাড়বে ৭০৫ টাকা
উৎসব ভাতা বাড়বে ৪ হাজার ৭০০ টাকা
নববর্ষ ভাতা বাড়বে ৯৪০ টাকা
বর্তমানে ১১তম গ্রেডে কর্মরত (১৩,৮৫৪ জন) প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হলে তারা-
মূল বেতন বেশি পাবেন ৩ হাজার ৫০০ টাকা
বাড়িভাড়া বাড়বে ১ হাজার ৯৫ টাকা (গড়ে ৪২ শতাংশ হারে)
বিশেষ সুবিধা বাড়বে ৫২৫ টাকা
উৎসব ভাতা বাড়বে ৩ হাজার ৫০০ টাকা
নববর্ষ ভাতা বাড়বে ৭০০ টাকা।
প্রাইমারির প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড প্রাপ্তির জন্য শর্তাবলি:
প্রাইমারির প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের আদেশে কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ১০ম গ্রেডে বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পেতে এ শর্তগুলো পূরণ করতে হবে। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে নিয়োগবিধি সংশোধন, প্রশিক্ষণ শেষ করাসহ একগুচ্ছ নির্দেশনা। শর্তগুলো নিম্নে দেওয়া হল:
প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টার সম্মতি গ্রহণ করতে হবে।
বেতন গ্রেড উন্নীতকরণে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মতি গ্রহণ করতে হবে।
বেতন গ্রেড উন্নীতকরণে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সুপারিশ গ্রহণ করতে হবে।
অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ কর্তৃক পদগুলোর বেতনস্কেল যাচাই/নির্ধারণ করতে হবে।
প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় কর্তৃক যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা পালনপূর্বক বেতন গ্রেড উন্নয়নের চার কপি সরকারি আদেশ (জিও) জারি করে জারিকৃত জিওতে অর্থ বিভাগের পৃষ্ঠাঙ্কন গ্রহণ করতে হবে।
মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অফিসের বিদ্যমান টিওঅ্যান্ডইতে বেতন গ্রেড উন্নয়নের পদগুলো অন্তর্ভুক্ত করে টিওঅ্যান্ডই হালনাগাদ করতে হবে।
পদ উন্নীতকরণের বিষয়টি বিদ্যমান নিয়োগবিধিতে অন্তর্ভুক্ত করে নিয়োগবিধি সংশোধন করতে হবে।
প্রশিক্ষণবিহীন সব প্রধান শিক্ষককে এ পদে যোগদানের তারিখ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে বেসিক ট্রেইনিং ফর প্রাইমারি টিচার্স (বিটিপিটি) প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করতে হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আরোপিত সকল শর্ত পালন করতে হবে।
আশা করি আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লেগেছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রস্তুতি সংক্রান্ত যেকোনো প্রশ্ন ও পরামর্শের জন্য আমাদের কমেন্ট করুন।
Comments