শুধু প্রিলি আর ভাইভা! হ্যাঁ ৪৯তম বিসিএস এর মাধ্যমে শুধু MCQ এবং ভাইভা পরীক্ষা দিয়ে আপনিও হতে পারেন একজন বিসিএস ক্যাডার। থাকছে না কোন লিখিত পরীক্ষা।
দেশের সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক সংকট দূর করতে শিক্ষা ক্যাডারের ‘বিশেষ বিসিএস’ নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এবার সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ৬৮৩টি পদে প্রভাষক নিয়োগের লক্ষ্যে ৪৯তম স্পেশাল বিসিএস (শিক্ষা) এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
এই ৪৯তম বিসিএস ই হতে পারে আপনার ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন পূরণের বিসিএস যদি একটি গুছানো ভাবে পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিতে পারেন। চলুন দেখে নেয়া যাক যেভাবে শুরু করবেন ৪৯তম বিসিএস প্রস্তুতি।
৪৯তম স্পেশাল বিসিএস (শিক্ষা) - এর প্রস্তুতি যেভাবে শুরু করবেন:
প্রথমেই আগামী ২টি মাস পুরোপরি কাজে লাগাতে হবে। এই দুই মাসে কি কি প্রস্তুতি নিবেন দেখে নিন:
৪৯তম স্পেশাল বিসিএস (শিক্ষা) এর সার্কুলারটি ভালোমতো দেখুন।
৪৯তম স্পেশাল বিসিএস এর সাধারণ বিষয় ও আপনার একাডেমিক বিষয়ের সিলেবাস ও মানবণ্টন সম্পর্কে ভালোমতো ধারণা নিন।
নিয়মিত পড়াশুনার জন্য একটি কার্যকর রুটিন তৈরি করুন।
দৈনিক কত ঘণ্টা পড়বেন এবং কোন বিষয়গুলো পড়বেন সেটি নির্ধারণ করুন।
সাধারণ বিষয় ও আপনার একাডেমিক বিষয়টি সমন্বয় করে পড়ুন।
বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, মানসিক দক্ষতা ও গাণিতিক যুক্তি প্রত্যেকটি বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ করুন।
সাধারণ বিষয়গুলো পড়ার জন্য ৭ম-১০ম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নির্ধারিত বোর্ড বই সহ একটি ভালো গাইডবই অনুসরণ করুন। বাজারের বহুল প্রচলিত বিদ্যাবাড়ির ৪৯তম স্পেশাল বিসিএস ডাইজেস্ট প্লাস (জেনারেল) বইটি অনুসরণ করতে পারেন।
আপনার একাডেমিক বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য সমান গুরুত্ব ও সময় দিন।
পিএসসির ওয়েবসাইট থেকে আপনার একাডেমিক বিষয়ের সিলেবাসটি ভালোভাবে দেখে নিন।
একাডেমিক বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো ভালোমতো আয়ত্ত করুন।
একাডেমিক বিষয়ের MCQ প্রস্তুতির জন্য অনার্স ও মার্স্টাসের (কিছু ক্ষেত্রে HSC এর বোর্ড বই) নির্ধারিত বই থেকে পিএসসির সিলেবাসের সাথে মিল রেখে বেসিক বিষয়গুলো খুব ভালোমত পড়ুন। সাথে বাজারে প্রচলিত ভালোমানের একটি MCQ Based গাইড বই অনুসরণ করতে পারেন।
বিগত বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্ন থেকে নির্ধারিত বিষয়ের প্রশ্নগুলো ব্যাখ্যা সহ পড়ে ফেলুন।
পরীক্ষায় ০.৫০ এর নেগেটিভ মার্ক এড়াতে যে প্রশ্নগুলো বেশি রিপিট হয় সেগুলো বেশি উত্তর করার চেষ্টা করুন।
কোন টপিকগুলো পড়তে হবে তা জানার পাশাপাশি কোন টপিকগুলো বাদ দিতে হবে এই সম্পর্কে জানুন।
নিয়মিত পত্রিকা থেকে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি সম্পর্কে ধারণা নিন।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ কৌশলটি হচ্ছে মডেল টেস্ট দেওয়ার মাধ্যমে নিজের প্রস্তুতি যাচাই করুন। এটি আপনাকে পরীক্ষার সময় মেইনটেইন করতেও সহায়তা করবে। এক্ষেত্রে বিদ্যাবাড়ির৪৯তম স্পেশাল বিসিএস মডেল টেস্ট (জেনারেল-১০০) বইটি অনুসরণ করতে পারেন।
যদি বুঝতে না পারেন যে কীভাবে পড়তে হবে বা কোন টপিকগুলো পড়তে হবে তাহলে ঘরে বসেই বিদ্যাবাড়ির বিশেষ আয়োজন49th Special BCS PRELIকোর্সে ভর্তি হতে পারেন।
এছাড়াও ঘরে বসে থেকেই আপনার একাডেমিক বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য স্বল্প খরচে বিদ্যাবাড়ির49th Special BCS Suggession Live Batch এ ভর্তি হয়ে আপনার প্রস্তুতিকে আরও মজবুত করে তুলুন।
৪৯তম স্পেশাল বিসিএসের খুঁটিনাটি তথ্য:
স্পেশাল বিসিএস কি?
স্পেশাল বিসিএস হল- বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) কর্তৃক পরিচালিত একটি বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা, যেখানে নির্দিষ্ট কোন ক্যাডারে (যেমন- স্বাস্থ্য বা শিক্ষা খাতে) শূন্যপদ পূরণের জন্য শুধু সংশ্লিষ্ট বিষয়ের যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারেন। এটি সাধারণ বিসিএস পরীক্ষা থেকে আলাদা এবং স্পেশাল বিসিএস পরীক্ষাগুলোতে প্রার্থীর যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য বিসিএসের সাধারণ বিষয়গুলোর পাশাপাশি প্রার্থীর পদ সংশ্লিষ্ট বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়।
৪৯তম স্পেশাল বিসিএসের আবেদনের যোগ্যতা:
সরকারি সাধারণ কলেজ এর জন্য:
কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রথম শ্রেণি বা সমমানের জি.পি.এ-তে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের জি.পি.এ-তে অনার্স সহ দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের জি.পি.এ-তে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ৪ বছর মেয়াদি ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের জি.পি.এ- তে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি।
সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজের জন্য:
কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের জি.পি.এ-তে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিসহ শিক্ষা বিষয়ে ডিগ্রি/ডিপ্লোমা।
৪৯তম স্পেশাল বিসিএস পরীক্ষা পদ্ধতি:
৪৯তম স্পেশাল (শিক্ষা) বিসিএসে ২ ধাপে মোট ৩০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। যথা:
১ম ধাপ: MCQ Type লিখিত পরীক্ষা (২০০ নম্বর)
৪৯ তম স্পেশাল বিসিএস (শিক্ষা) এর নিয়োগ পরীক্ষার ১ম ধাপে প্রার্থীদের ২০০ নম্বরের MCQ Type লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর বরাদ্দ থাকবে এবং ভুল উত্তরের জন্য ০.৫০ নম্বর কাটা যাবে
MCQ টাইপ লিখিত পরীক্ষার জন্য সময় বরাদ্দ থাকবে ২ ঘণ্টা।
৪৯তম স্পেশাল বিসিএস (শিক্ষা) এর সিলেবাস ও মানবণ্টন:
বিষয়
মানবণ্টন
সময়
বাংলা
২০
২ ঘণ্টা
ইংরেজি
২০
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
২০
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
২০
মানসিক দক্ষতা
১০
গাণিতিক যুক্তি
১০
সংশ্লিষ্ট ক্যাডার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পদের জন্য প্রাসঙ্গিক বিষয়
১০০
সর্বমোট
২০০ নম্বর
২য় ধাপ: ভাইভা পরীক্ষা (১০০ নম্বর)
যেসকল প্রার্থী ২০০ নম্বরের MCQ Type লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন এবং যাদের BPSC Form-1 সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত পাওয়া যাবে তারা ৪৯ তম বিশেষ বিসিএস এর মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।
৪৯তম স্পেশাল বিসিএস (শিক্ষা) এর ভাইভা পরীক্ষার মোট নম্বর ১০০ এবং পাশ নম্বর ৫০।
বিষয়কোড সহ ৪৯তম স্পেশাল (শিক্ষা) এর শূন্যপদের সংখ্যা:
সরকারি সাধারণ কলেজসমূহের জন্য ৬৫৩টি এবং সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ সমূহের জন্য ৩০টি অর্থাৎ সর্বমোট ৬৮৩ টি পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। নতুন পদ সৃষ্টি, পদ বিলুপ্তি, পদোন্নতি, অবসরগ্রহণ, মৃত্যু, পদত্যাগ অথবা অপসারণ ইত্যাদি কারণে শূণ্য পদের সংখ্যা পরিবর্তন হতে পারে।
সরকারি সাধারণ কলেজসমূহের শূন্যপদ:
পদের নাম
বিষয় কোড
শূন্যপদ সংখ্যা
প্রভাষক (বাংলা)
১১১
৬১
প্রভাষক (ইংরেজি)
১২১
৫০
প্রভাষক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)
৩৪১
৫৫
প্রভাষক (দর্শন)
২১১
৩০
প্রভাষক (অর্থনীতি)
৩৩১
৪০
প্রভাষক (প্রাণিবিদ্যা)
৫৯১
১৫
প্রভাষক (ইতিহাস)
১৮১
৩০
প্রভাষক (সমাজকল্যাণ)
৩৬১
২৫
প্রভাষক (রসায়ন)
৫৩১
৩০
প্রভাষক (ফলিত রসায়ন)
৫৪১
প্রভাষক (প্রাণ রসায়ন)
৬০১
প্রভাষক (ইসলামি শিক্ষা)
২০১
১৫
প্রভাষক (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি)
১৯১
৩২
প্রভাষক (পদার্থবিদ্যা)
৫১১
২৫
প্রভাষক (উদ্ভিদবিদ্যা)
৫৮১
২৪
প্রভাষক (সমাজবিজ্ঞান)
৩৫১
১৫
প্রভাষক (গণিত)
৫৫১
৩০
প্রভাষক (ফলিত গণিত)
৫৬১
প্রভাষক (ভূগোল)
৩১১
১৬
প্রভাষক (হিসাববিজ্ঞান)
৭০১
৩০
প্রভাষক (মার্কেটিং)
৭২১
১০
প্রভাষক (ব্যবস্থাপনা)
৭৩১
৩২
প্রভাষক (ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং)
৭১১
২০
প্রভাষক (মনোবিজ্ঞান)
১৭১
১০
প্রভাষক (কৃষি বিজ্ঞান)
৮০১
০৫
প্রভাষক (পরিসংখ্যান)
৯৮১
১৫
প্রভাষক (সংস্কৃত)
১৫১
০৫
প্রভাষক (গার্হস্থ্য অর্থনীতি)
৩৯১
০৬
প্রভাষক (কম্পিউটার সায়েন্স)
৯৭১
২৫
প্রভাষক (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি)
২৮১
প্রভাষক (ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং)
৮৯২
প্রভাষক (খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান)
৬৬১
০২
সর্বমোট শূন্যপদ
৬৫৩টি
সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজসমূহের শূন্যপদ:
পদের নাম
বিষয় কোড
শূন্যপদ সংখ্যা
প্রভাষক (গণিত)
৫৫১
০২
প্রভাষক (ফলিত গণিত)
৫৬১
প্রভাষক (বাংলা)
১১১
০৩
প্রভাষক (মনোবিজ্ঞান)
১৭১
০৩
প্রভাষক (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি)
২৮১
প্রভাষক (ভূগোল)
৩১১
প্রভাষক (পদার্থ বিদ্যা)
৫১১
প্রভাষক (রসায়ন)
৫৩১
প্রভাষক (ফলিত রসায়ন)
৫৪১
প্রভাষক (গণিত)
৫৫১
প্রভাষক (ফলিত গণিত)
৫৬১
প্রভাষক (ভূ-তত্ত্ব)
৫৭১
প্রভাষক (উদ্ভিদবিদ্যা)
৫৮১
প্রভাষক (প্রাণিবিদ্যা)
৫৯১
প্রভাষক (প্রাণ রসায়ন)
৬০১
প্রভাষক (মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিজ্ঞান)
৬২১
প্রভাষক (সমুদ্রবিদ্যা)
৮৬১
প্রভাষক (কম্পিউটার সায়েন্স)
৯৭১
প্রভাষক (পরিসংখ্যান)
৯৮১
প্রভাষক (ভূগোল)
৩১১
০৩
প্রভাষক (শিক্ষা)
২২১
০৬
প্রভাষক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)
৩৪১
০৪
প্রভাষক (গার্হস্থ্য অর্থনীতি)
৩৯১
০২
প্রভাষক (ইংরেজি)
১২১
০৪
প্রভাষক (ইসলামিক আদর্শ)
২০১
০৩
সর্বমোট শূন্যপদ
৩০টি
বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার কেন এত জনপ্রিয়?
শুধু প্রিলি এবং ভাইভা পরীক্ষার মাধ্যমে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার সুযোগ।
শিক্ষা ক্যাডার সামগ্রিকভাবে বিসিএস ক্যাডারগুলোর মধ্যে অন্যতম বড় একটি ক্যাডার।
শিক্ষা ক্যাডারে অন্য সব ক্যাডারের তুলনায় বেশি সংখ্যক নিয়োগ হয়।
প্রভাষক পদ দিয়ে চাকরি শুরু হয়ে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং অধ্যাপক পর্যন্ত পদোন্নতির সুযোগ।
অন্যান্য সকল ক্যাডারের মত একই আর্থিক সুযোগ সুবিধা সহ বাড়তি ইনকামের সুযোগ।
বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ।
বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভালো অঙ্কের প্রশিক্ষণ ভাতা সহ বিভিন্ন জায়গায় ভিআইপি মর্যাদায় ভ্রমণের সুযোগ।
সরকারি বৃত্তি নিয়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ।
সরকারি সকল ছুটি সহ শ্রান্তি বিনোদনের ছুটি ও ভাতা পাওয়া যায়।
অসংখ্য পরীক্ষায় ইনভিজিলেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন সহ খাতা মূল্যায়নের মাধ্যমে বাড়তি আয়ের সুযোগ।
টিউশনি ও কোচিং করিয়ে চাকরির পাশাপাশি বাড়তি অর্থ আয়ের সুযোগ।
কলেজের বিভিন্ন কমিটিতে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বাড়তি আয়ের সুযোগ।
ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধি হিসেবে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা পরিদর্শনের সুযোগ।
বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় ভাইভা বোর্ডের কর্মকর্তা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন।
নিয়মিত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের (ডিসি-এসপি) সাথে যোগাযোগ ও কাজের সুযোগ থাকবে।
ভবিষ্যতে দক্ষতার ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সকল শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান, সচিব ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালনের সুযোগ।
চাকরি পরবর্তী জীবনে রয়েছে পেনশন সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা।
৪৯তম স্পেশাল বিসিএস (শিক্ষা) এর সিলেবাস ও মানবণ্টন: (সাধারণ বিষয়)
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য:
টপিক
মানবণ্টন
ভাষা: প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ, বানান ও বাক্য শুদ্ধি, পরিভাষা, সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ, ধ্বনি, বর্ণ, শব্দ, পদ, বাক্য, প্রত্যয়, সন্ধি ও সমাস।
১৫
সাহিত্য:
ক. প্রাচীন ও মধ্যযুগ খ. আধুনিক যুগ (১৮০০-বর্তমান পর্যন্ত)
৫
English Grammar & Literature অংশ:
টপিক
মানবণ্টন
PART- I: Language
A.Parts of Speech:
The Noun:
The Determiner
The Gender
The Number
The Pronoun
The Verb:
The Finite: transitive, intransitive
The Non-finite: participles, infinitives, gerund
The Linking Verb
The Phrasal Verb
Modals
The Adjective
The Adverb
The Preposition
The Conjunction
15
B.Idioms & Phrases:
Meanings of Phrases
Kinds of Phrases
Identifying Phrases
C.Clauses:
The Principal Clause
The Subordinate Clause:
The Noun Clause
The Adjective Clause
The Adverbial Clause & its types
D.Corrections:
The Tense
The Verb
The Preposition
The Determiner
The Gender
The Number
Subject-Verb Agreement
E. Sentences & Transformations:
The Simple Sentence
The Compound Sentence
The Complex Sentence
The Active Voice
The Passive Voice
The Positive Degree
The Comparative Degree
The Superlative Degree
F.Words:
Meanings
Synonym
Antonym
Spellings
Usage of words as various parts of speech
Formation of new words by adding prefixes and suffixes
G.Composition:
Names of parts of paragraphs/letters/applications
PART- II: Literature
H. English Literature:
Names of writers of literary pieces from Elizabethan period to the 21st Century.
Important drama, poetry and prose of different ages
05
গণিত / গাণিতিক যুক্তি অংশ:
টপিকসমূহ
মানবণ্টন
বাস্তব সংখ্যা, ল.সা.গু, গ.সা.গু, শতকরা, সরল ও যৌগিক মুনাফা, অনুপাত ও সমানুপাত, লাভ ও ক্ষতি
০২
বীজগাণিতিক সূত্রাবলি, বহুপদী উৎপাদক, সরল ও দ্বিপদী সমীকরণ, সরল ও দ্বিপদী অসমতা, সরল সহসমীকরণ।
০২
সূচক ও লগারিদম, সমান্তর ও গুণোত্তর অনুক্রম ও ধারা।
০২
রেখা, কোণ, ত্রিভুজ ও চতুর্ভুজ সংক্রান্ত উপপাদ্য, পিথাগোরাসের উপপাদ্য ও বৃত্ত সংক্রান্ত উপপাদ্য, পরিমিতি-সরল ক্ষেত্র ও ঘনবস্তু।
০২
সেট, বিন্যাস ও সমাবেশ, পরিসংখ্যান ও সম্ভাব্যতা।
০২
বাংলাদেশ বিষয়াবলি অংশ:
টপিকের নাম
মানবণ্টন
বাংলাদেশের জাতীয় বিষয়াবলি:
বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ইতিহাস: আধুনিক যুগ (১৭৫৭ থেকে অদ্যাবধি)
০৪
বাংলাদেশের কৃষিজ সম্পদ:
শস্য উৎপাদন এবং এর বহুমুখীকরণ, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা। বাংলাদেশের জনসংখ্যা, জনশুমারি, জাতি, গোষ্ঠী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সংক্রান্ত বিষয়াদি।
০২
বাংলাদেশের জনসংখ্যা, জনশুমারি,জাতি, গোষ্ঠী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সংক্রান্ত
০২
বাংলাদেশের অর্থনীতি:
উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রেক্ষিত, জাতীয় আয়ব্যয়, রাজনীতি ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, দারিদ্র্য বিমোচন ইত্যাদি।
০২
বাংলাদেশের শিল্প ও বাণিজ্য:
শিল্প উৎপাদন, পণ্য আমদানি ও রপ্তানীকরণ, গার্মেন্টস শিল্প ও এর সার্বিক ব্যবস্থাপনা, অন্যান্য শিল্পসমূহ, বৈদেশিক লেনদেন, অর্থ প্রেরণ, ব্যাংক ও বীমা ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি।
০২
বাংলাদেশের সংবিধান:
প্রস্তাবনা ও বৈশিষ্ট্য, মৌলিক অধিকারসহ রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিসমূহ, সংবিধানের সংশোধনীসমূহ।
০২
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা:
রাজনৈতিক দলসমূহের গঠন, ভূমিকা ও কার্যক্রম, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের পারস্পরিক সম্পর্কাদি, সুশীল সমাজ ও চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীসমূহ এবং এদের ভূমিকা। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ পরবর্তী এবং সংস্কার প্রস্তাবনা।
০২
বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা:
আইন, শাসন ও বিচার বিভাগসমূহ, আইন প্রণয়ন, নীতি নির্ধারণ, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা কাঠামো, প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস ও সংস্কার।
০২
বাংলাদেশের জাতীয় অর্জন, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানসমূহ, জাতীয় পুরস্কার, বাংলাদেশের খেলাধুলাসহ চলচ্চিত্র, গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি।
০২
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি অংশ:
টপিকের নাম
মানবণ্টন
বৈশ্বিক ইতিহাস, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, ভূ-রাজনীতি।
০৪
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্ক।
০৪
বিশ্বের সাম্প্রতিক ও চলমান ঘটনাপ্রবাহ।
০৪
আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও কূটনীতি।
০৩
আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদি।
০৩
সিভিল সার্ভিসের গোড়াপত্তন এবং যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা ও পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস।
০২
মানসিক দক্ষতা অংশ:
টপিকের নাম
পূর্ণমান
ভাষাগত যৌক্তিক বিচার (Verbal Reasoning)
১০
সমস্যা সমাধান (Problem Solving)
বানান ও ভাষা (Spelling and Language)
যান্ত্রিক দক্ষতা (Mechanical Reasoning)
স্থানাঙ্ক সম্পর্ক (Space Relation)
সাংখ্যিক ক্ষমতা (Numerical Ability)
৪৯তম স্পেশাল বিসিএস (শিক্ষা) এর সিলেবাস ও মানবণ্টন: (পদ সংশ্লিষ্ট বিষয়)
প্রথমেই বিগত বিসিএসের প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করুন এবং যে টপিকগুলো থেকে অধিক প্রশ্ন আসে সেগুলো চিহ্নিত করুন।
পরীক্ষায় সরাসরি কমন পেতে বিসিএস সহ বিগত সকল সরকারি চাকরির পরীক্ষার বাংলা ভাষা ও সাহিত্য অংশের প্রশ্ন গুলো ব্যাখ্যা সহ পড়ে ফেলুন।
বাংলা ব্যাকরণের জন্য নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড বই থেকে ৪৯তম স্পেশাল (শিক্ষা) বিসিএস এর সিলেবাস অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো খুব ভালোমত উদাহরণ সহ পড়ুন।
যে টপিকগুলো থেকে সহজেই বেশি নম্বর তোলা যায় (যেমন- প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ, বানান ও বাক্য শুদ্ধি, পরিভাষা, সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ, ধ্বনি, বর্ণ, শব্দ, পদ, বাক্য, প্রত্যয়, সন্ধি ও সমাস) সেগুলো খুব ভালোমতো পড়ুন।
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন ও মধ্যযুগের গুরুত্বপূর্ণ টপিক সমূহ (যেমন-চর্যাপদ, মঙ্গলকাব্য, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, বৈষ্ণব সাহিত্য, জীবনী সাহিত্য, অনুবাদ সাহিত্য, রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান, আরকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্য, উল্লেখযোগ্য পৃষ্ঠপোষক, নাথ সাহিত্য, পুঁথি সাহিত্য, কবিওয়ালা-শাঁয়ের, জঙ্গনামা, মর্সিয়া সাহিত্য, ডাক ও খনার বচন, লোক সাহিত্য, গীতিকা, যুগ সন্ধিক্ষণ ও ঈশ্বরচন্দ্রগুপ্ত, মধ্যযুগের গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক ইত্যাদি) ভালোমতো পড়ুন।
প্রাচীন যুগের বিভিন্ন কবি যেমন- লুইপা (চর্যাপদের প্রথম পদটি তার লেখা এবং আদি কবি হিসেবে পরিচিত), কাহ্নপা, সরহ পা (সরহপাদ বা রাহুলভদ্র নামেও পরিচিতি ), শবরপা, ডোম্বীপা( ত্রিপুরা বা মগধের রাজা), ভুসুকুপা, কুক্কুরীপা (চর্যার একমাত্র মহিলা কবি) প্রমুখ সম্পর্কে জানুন।
মধ্যযুগের বিভিন্ন কবি যেমন- বড়ু চণ্ডীদাস (বৈষ্ণব পদাবলীর অন্যতম কবি), বিদ্যাপতি, কৃত্তিবাস ওঝা (রামায়ণের অনুবাদক), শাহ মুহম্মদ সগীর (বাঙালি মুসলিম কবিদের মধ্যে প্রাচীনতম), আলাওল, মুকুন্দরাম চক্রবর্তী (চণ্ডীমঙ্গল রচয়িতা), মালাধর বসু (শ্রীকৃষ্ণবিজয় রচয়িতা) , কোরেশী মাগন ঠাকুর, ভারতচন্দ্র রায়(মঙ্গলকাব্যের শেষ কবি), দ্বিজ কানাই (মনসামঙ্গল কাব্য রচয়িতা), বিজয়গুপ্ত (পদ্মাপুরাণ রচয়িতা), দৌলত উজির বাহরাম খান (জঙ্গনামা রচয়িতা) প্রমুখ এবং তাদের সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে জানুন।
আধুনিক যুগে- বাংলা গদ্যের কথা, শ্রীরামপুর মিশন ও ছাপাখানা, ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ, হিন্দু কলেজ ও ইয়ং বেঙ্গল, মোহামেডান লিটারেরি সোসাইটি, বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সমাজ, ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ, বাংলা একাডেমি ইত্যাদি বিষয়গুলো পড়ুন।
পিএসসির নির্ধারিত ১১ জন কবি ও সাহিত্যিকদের জীবনী সহ তাদের সৃষ্টিকর্ম সম্পর্কে পড়ুন।
উইলিয়াম কেরি, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, রাজা রামমোহন রায়, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ ও সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র, বিহারীলাল চক্রবর্তী, মীর মশাররফ হোসেন, জসীমউদ্দীন, বেগম রোকেয়া, ফর্রুখ আহমদ, মানিক বন্দোপাধ্যায়, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, জহির রায়হান, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, আবু ইসহাক, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রমথ চৌধুরী, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, আহসান হাবীব, জীবনানন্দ দাশ, জহির রায়হান, মুনীর চৌধুরী, শওকত ওসমান, শামসুর রাহমান, সুফিয়া কামাল, সৈয়দ মুজতবা আলী, আহমদ ছফা, আহসান হাবীব, সেলিম আল দীন, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, হাসান হাফিজুর রহমান, ড. নীলিমা ইব্রাহিম, সেলিনা হোসেন, ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কবি ও সাহিত্যিক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে পড়ুন।
ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সকল গ্রন্থ, উপন্যাস ও চলচ্চিত্র সম্পর্কে পড়ে ফেলুন।
পত্র-পত্রিকার প্রতিষ্ঠাকাল ও সম্পাদক ইত্যাদি সম্পর্কে জানুন।
ইংরেজি সাহিত্য অংশে ভালো করার জন্য অবশ্যই একটি ভালো বই অনুসরণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে বাজারে বহুল প্রচলিত বিদ্যাবাড়িরClassroom MCQ English Grammar & Literatureবইটি আপনার প্রস্তুতির জন্য অন্যতম সহায়ক হতে পারে।
বিসিএস এর সিলেবাস অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো থেকে (যেমন- Noun: Number, Gender, Determiner; Verb, Pronoun, Adjective, Adverb, Preposition, Conjunction, Idioms & Phrases, Clause, Corrections: Tense, Verb, Preposition, Determiner, Gender, Number, Subject-Verb Agreement; Transformation of Sentences: Simple, Complex, Compound Sentence; Voice: Active & Passive Voice; Degree: Positive, Comparative and Superlative Degree ইত্যাদি) Example গুলো বেশি বেশি প্র্যাকটিস করতে হবে।
Vocabulary অংশে Meanings, Synonym & Antonyms, Spellings, Use of words as various parts of Speech, Formation of Words by adding prefixes and suffixes ইত্যাদি টপিকগুলোতে ভালো করতে চাইলে বিদ্যাবাড়িরClassroom MCQ English Grammar & Literatureবইটি থেকে নিয়মিত অনুশীলন করুন।
Grammar এর সব Rules পড়ে সময় নষ্ট করার প্রয়োজন নেই। গুরুত্বপূর্ণ টপিক থেকে Example গুলো আগে দেখুন এবং সে অনুযায়ী Rules গুলো পড়ুন।
Composition অংশে Paragraph/Letter/Application এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ গুলোর নাম জানুন। যেমন- একটি Paragraph এর ৩টি অংশ রয়েছে যেগুলো হল: Topic Sentence, Body, Concluding Remarks। এগুলোর কোনটির কি কাজ বা কোন অংশটি মূল অংশ এগুলো জানুন। আবার একটি letter এর ৬টি অংশ রয়েছে যেগুলো হল: Heading, Salutation or Greeting, Body, Subscription, Signature of the writer, Superscription or Address। এই অংশগুলো সম্পর্কে জানুন।
ইংরেজি সাহিত্য অংশে Elizabethan period থেকে 21st Century পর্যন্ত বিভিন্ন সাহিত্যকর্ম ও লেখকের নাম জানতে হবে।
বিভিন্ন যুগের গুরুত্বপূর্ণ নাটক, কাব্য/কবিতা ও গদ্য সম্পর্কে জানতে হবে।
বিভিন্ন কবি সাহিত্যিকের বিভিন্ন উপাধি সম্পর্কে জানুন (যেমন- Father of English literature//modern poetry /poem, Father of modern drama, Father of English tragedy, Father of modern English Criticism, Father of English dictionary, Epic poet, Heroic poet ইত্যাদি)
পরীক্ষায় সরাসরি প্রশ্ন কমন পেতে বিসিএস সহ বিগত সকল সরকারি চাকরির পরীক্ষার Grammar & Literature অংশের প্রশ্নগুলো ব্যাখ্যা সহ পড়ুন।
যেহেতু প্রস্তুতির জন্য সময় অনেক কম সেজন্য অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় তথ্যগুলো বাদ দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলোতে বেশি মনোযোগ দিন।
অল্প সময়ের মধ্যে Grammar & Literature অংশের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন গুলো সমাধান করতে এবং গুছিয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বিদ্যাবাড়ির ৪৯তম স্পেশাল বিসিএস ডাইজেস্ট প্লাস (জেনারেল) বইটি অনুসরণ করতে পারেন।
গণিত / গাণিতিক যুক্তি অংশের প্রস্তুতি:
গাণিতিক যুক্তি অংশে ভালো করার জন্য নিয়মিত অনুশীলনের প্রয়োজন।
দৈনিক একটি নির্দিষ্ট সময় গাণিতিক যুক্তির অনুশীলনের জন্য রাখতে হবে।
সাধারণ গণিতের জন্য ৭ম-১০ম শ্রেণির বোর্ড বই থেকে অনুশীলন করতে হবে।
বীজগাণিতিক সূত্রাবলি, বহুপদী উৎপাদক, সরল ও দ্বিপদী সমীকরণ, সরল ও দ্বিপদী অসমতা, সরল
সহসমীকরণ ইত্যাদি টপিকগুলো ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ ও উচ্চতর গণিত বোর্ড বই থেকে অনুশীলন করতে হবে।
রেখা, কোণ, ত্রিভুজ ও চতুর্ভুজ সংক্রান্ত উপপাদ্য, পিথাগোরাসের উপপাদ্য ও বৃত্ত সংক্রান্ত উপপাদ্য, পরিমিতি-সরল ক্ষেত্র ও ঘনবস্তু ইত্যাদি জ্যামিতির টপিকগুলো ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ ও উচ্চতর গণিত বোর্ড বই থেকে অনুশীলন করতে হবে।
সেট, বিন্যাস ও সমাবেশ, পরিসংখ্যান ও সম্ভাব্যতা ইত্যাদি টপিকগুলো একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির উচ্চতর গণিত বই থেকে পড়লে ভালো হয়।
প্রিলি পরীক্ষায় গাণিতিক যুক্তি অংশে ভালো করার জন্য গণিতের শর্টকাট টেকনিক গুলো অনুসরণ করুন।
বিসিএস সহ বিগত সরকারি চাকরির গাণিতিক যুক্তির প্রশ্নগুলো সমাধান করতে হবে।
৪৯তম বিশেষ(শিক্ষা) বিসিএস এর সিলেবাস অনুযায়ী প্রত্যেকটি অধ্যায় থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো পড়ুন।
বিশেষ করে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ইতিহাস, সংবিধান, সরকার ব্যবস্থা, রাজনীতি, অর্থনীতি ও শিল্প বাণিজ্য, জনসংখ্যা, জনশুমারি, জাতি-গোষ্ঠী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, কৃষিজ সম্পদ, জাতীয় অর্জন, খেলাধুলা, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, জাতীয় পুরস্কার, চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যম
নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পাঠ্য বইটি খুব ভালোমতো পড়ুন।
সরকার কাঠামো, আইন, শাসন ও বিচার বিভাগসমূহ ও এদের পারস্পরিক সম্পর্ক, রাজনৈতিক দলসমূহের গঠন, ভূমিকা ও কার্যক্রম; সুশীল সমাজ ও চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী সমূহ এবং এদের ভূমিকা ইত্যাদি টপিক গুলো প্রফেসর মো: মোজাম্মেল হক রচিত একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র বই থেকে পড়তে হবে।
রাজনৈতিক ইতিহাস, সংবিধান প্রস্তাবনা ও বৈশিষ্ট্য, মৌলিক অধিকারসহ রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিসমূহ, সংবিধানের সংশোধনীসমূহ, বাংলাদেশ সরকার ও প্রশাসনিক কাঠামো, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা কাঠামো ইত্যাদি টপিকগুলো প্রফেসর মো: মোজাম্মেল হক রচিত একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর পৌরনীতি ও সুশাসন ২য় পত্র বই থেকে পড়তে হবে।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০২৪, উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রেক্ষিত ও পঞ্চবার্ষিক, জাতীয় আয়-ব্যয়, বাজেট ২০২৫-২৬, রাজস্ব নীতি ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR), পুঁজিবাজার, শেয়ার বাজার, মুদ্রাব্যবস্থা, বাংলাদেশ ব্যাংক, দারিদ্র্য বিমোচন, জনসংখ্যা ও জনশুমারি ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোমতো ধারণা অর্জন করতে হবে এবং আপডেট তথ্য গুলো সংগ্রহ করে রাখতে হবে।
বিশ্বের সাম্প্রতিক ও চলমান ঘটনাপ্রবাহ; বৈশ্বিক ইতিহাস, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, ভূ-রাজনীতি; আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্ক( সামরিক জোট ও পুলিশ সংস্থা, সামরিক চুক্তি, বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র, গণহত্যা সনদ, পরমাণু চালিত সাবমেরিন, বিভিন্ন দেশের মিলিটারি ঘাঁটি ইত্যাদি); আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও কূটনীতি( পরিবেশ সংক্রান্ত দিবস, গ্রিন হাউজ, আবহাওয়া ও জলবায়ু, পরিবেশ দূষণ, এসিড বৃষ্টি, ধরিত্রী সম্মেলন, COP সম্মেলন, রিও কনফারেন্স, পরিবেশ বিষয়ক কনভেনশন ও কূটনীতি ইত্যাদি); আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদি( জাতিসংঘ, SAARC, ASEAN, OIC,NAM,BIMSTEC, World Bank, IMF, WTO, ADB, IDB, EU, G-7, G-20, G-77, D-8, APEC, OPEC, BRICS,BENELUX, ACU, অর্থনৈতিক বাণিজ্যিক চুক্তি ইত্যাদি) সম্পর্কে বিস্তারিত পড়তে হবে।
এছাড়া সিভিল সার্ভিসের গোড়াপত্তন এবং যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের ইতিহাস ও যাবতীয় তথ্য সম্পর্কে জানতে হবে।
ভাষাগত যৌক্তিক বিচার অংশে ভাবার্থ অনুধাবন ও সঠিক শব্দ চয়ন, সম্পর্ক ও বিশেষত্ব নির্ণয়, সাংকেতিক বিন্যাস ও পুনর্বিন্যাস, সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য বিচার, সিদ্ধান্ত গ্রহণের সামর্থ্য এবং বোধশক্তি বিচার ইত্যাদি টপিকগুলো নিয়মিত অনুশীলন করুন।
সমস্যা সমাধান অংশে- ঘড়ি বিষয়ক অভীক্ষা, সময় (দিন, তারিখ, মাস, বছর) বিষয়ক সমস্যা, নল ও চৌবাচ্চা বিষয়ক সমস্যা, দূরত্ব ও গতি বিষয়ক সমস্যা, নৌকা ও স্রোত বিষয়ক, দূরত্ব ও গতি বিষয়ক সমস্যা গুলো নিয়মিত সমাধান করতে হবে।
বানান ও ভাষা অংশে- বর্ণ বিন্যাস ও শব্দ গঠন, শুদ্ধ বানান ও বাক্য গঠন, সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে।
স্থানাঙ্ক সম্পর্ক অংশে- দিক নির্ণয়, দূরত্ব নির্ণয়, অবস্থান সংক্রান্ত, চিত্র দেখে চতুর্ভুজের সংখ্যা নির্ণয়, সদৃশ ছবি তৈরি ইত্যাদি বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে।
সবশেষে সংখ্যাগত দক্ষতা অংশে- যৌক্তিক সংখ্যা, সিরিজ সম্পন্নকরণ, অনুমান ও তাৎক্ষণিক সমাধান এর সমস্যাগুলো নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে হবে।
কোন সমস্যা বুঝতে না পারলেবিদ্যাবাড়ির ইউটিউবে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল দেখতে পারেন।
৪৯তম বিশেষ (শিক্ষা) বিসিএস এর ভাইভা প্রস্তুতি:
৪৯তম বিশেষ বিসিএস এর ২০০ নম্বরের MCQ Type লিখিত পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হবেন এবং যাদের BPSC Form-1 এর সকল তথ্য সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত পাওয়া যাবে তারা ৪৯তম বিশেষ বিসিএস এর মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।
৪৯তম বিশেষ বিসিএস এর ভাইভা পরীক্ষার নম্বর ১০০ এবং পাশ নম্বর ৫০।
৪৯তম বিশেষ বিসিএস এর ভাইভার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
যেকোনো ভাইভা পরীক্ষার প্রথম প্রস্তুতি হচ্ছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ আগে থেকে যথাযথ ভাবে গুছিয়ে রাখা। ৪৯তম বিশেষ বিসিএস এর ভাইভার জন্য নিম্নোক্ত প্রয়োজনীয় সনদ/ডকুমেন্টস এর ২ কপি করে জমা দিতে হবে:
অনলাইনে পূরণকৃত BPSC Form-1 (Applicants Copy) নির্ধারিত সময়ে ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে সংক্ষরণ করুন।
প্রার্থীর স্বাক্ষরযুক্ত এবং ন্যূনতম নবম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত ০৩ কপি পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ছবি BPSC Form-1 (Applicants Copy) এর বামপাশে স্ট্যাপলারের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল/সাময়িক সনদের সত্যায়িত ফটোকপি।
অ্যাপিয়ার্ড সার্টিফিকেটধারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা শুরু ও শেষ হওয়ার তারিখসহ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক/ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক স্বাক্ষরিত অ্যাপিয়ার্ড সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি। পরীক্ষা শুরু ও শেষ হওয়ার তারিখ না থাকলে কোন অ্যাপিয়ার্ড সার্টিফিকেট গ্রহণযোগ্য হবে না। এরূপ ক্ষেত্রে প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে না এবং প্রার্থীতা বাতিল হবে।
বয়স প্রমাণের জন্য এস.এস.সি/সমমানের পরীক্ষার মূল/সাময়িক সনদের সত্যায়িত কপি।
“O-Level” এবং “A-Level” প্রার্থীদের ক্ষেত্রে জন্ম তারিখ সংবলিত দালিলিক প্রমাণ যেমন- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধন সনদ।
বয়স প্রমাণের জন্য কোন অ্যাফিডেভিট গ্রহণযোগ্য হবে না।
এছাড়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, তৃতীয় লিঙ্গভুক্ত বা বিদেশ থেকে ডিগ্রি অর্জনকারীদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কাগজপত্র প্রদর্শন করতে হবে।
লিখিত পরীক্ষায় (MCQ Type) উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে যারা সরকারি/আধা-সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা অথবা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অধীনে কর্মরত তাদের কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোডেড অনাপত্তি/ছাড়পত্র ফরম ডাউনলোড করে যথাসময়ে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সিল-স্বাক্ষর গ্রহণপূর্বক মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে ছাড়পত্রের কপি জমা দিবেন।
চাকরি হতে অপসারিত (Removed) হয়েছেন অথবা চাকরিতে ইস্তফা দিয়েছেন এমন প্রার্থীরাও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে এ সব ক্ষেত্রে প্রার্থীকে BPSC Form-1 এর সাথে চাকরি হতে অপসারণ আদেশের বা ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়েছে মর্মে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের আদেশের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
সকল কাগজপত্র যাচাইবাছাই শেষে শুধু ত্রুটিমুক্ত আবেদনের সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের ভাইভায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।
লিখিত পরীক্ষায় পাশ করা সত্ত্বেও যদি প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রে কোন ত্রুটি থাকে তবে প্রার্থী ভাইভা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না।
৪৯তম বিশেষ বিসিএস এর ভাইভা বোর্ডের গঠন:
বিসিএস এর ভাইভার জন্য ৩ জন সদস্য বিশিষ্ট মোট ১২-১৫ টি বোর্ড গঠিত হতে পারে।
প্রতিটি বোর্ডে ১ জন করে চেয়ারম্যান থাকেন, যিনি মূলত পিএসসির সদস্য।
পিএসসির চেয়াম্যান নিজেও উপস্থিত থেকে সরাসরি ভাইভা বোর্ড পরিচালনা করতে পারেন।
২য় সদস্য হিসেবে থাকেন সরকার কর্তৃক নির্ধারিত যুগ্ম সচিব বা তাঁর ঊর্ধ্ব পর্যায়ের একজন পদস্থ কর্মকর্তা।
৩য় সদস্য হিসেবে থাকেন সরকারের কোনো অবসরপ্রাপ্ত সচিব, যুগ্ম সচিব বা প্রতিষ্ঠিত সরকারি উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা।
ভাইভা বোর্ডের ৩ জন সদস্যের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ক্যাডার সার্ভিসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও থাকেন।
এই সদস্যরা সাধারণত প্রার্থীর সংশ্লিষ্ট ক্যাডার বা পেশাগত জ্ঞান, সাধারণ জ্ঞান, বিশ্লেষণ ক্ষমতা, মানসিক দৃঢ়তা এবং উপস্থাপনা দক্ষতা মূল্যায়ন করেন।
৪৯তম বিশেষ বিসিএসের ভাইভায় ভালো করার জন্য করণীয়:
৪৯তম বিশেষ (শিক্ষা) বিসিএসের ভাইভা প্রস্তুতি হিসেবে একজন প্রার্থীকে শিক্ষা ক্যাডারের কাজ, পদক্রম, সুবিধা-অসুবিধা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে।
প্রার্থীর অনার্স/মাস্টার্সের বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হবে। বিশেষ করে প্রার্থীর একাডেমিক থিসিস বা গবেষণার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হতে পারে।
শিক্ষা বিষয়ক সাম্প্রতিক ঘটনাবলি, শিক্ষা নীতি এবং শিক্ষা খাতের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে।
বিভিন্ন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার তফাৎ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হতে পারে।
শিক্ষা খাতকে কীভাবে আরও বিজ্ঞানসম্মত ভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় এ ধরনের প্রশ্ন করা হতে পারে।
আপনি শিক্ষক হিসেবে কীভাবে আপনার ছাত্রদের মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান করতে পারেন বা শিক্ষা ব্যবস্থার গুণগত পরিবর্তনের জন্য আপনার ভূমিকা কি হতে পারে সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হতে পারে।
বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক, পরিচালক ও চেয়ারম্যানের নাম ও কর্মপরিধি সম্পর্কে জানতে হবে।
একাডেমিক পড়াশুনার পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চলমান সকল সাম্প্রতিক ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত জ্ঞান রাখুন।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ ও তাদের বিখ্যাত উক্তি সম্পর্কে জেনে রাখুন।
বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টপিক AI টেকনোলজি এবং এর প্রয়োগ সম্পর্কে জানুন।
নিজের জেলা উপজেলার বিখ্যাত ব্যক্তি, দর্শনীয় স্থান, উল্লেখযোগ্য পণ্য, ফসল ইত্যাদি সকল তথ্য জেনে রাখুন।
আপনি কেন শিক্ষা ক্যাডারে যেতে চান এই প্রশ্নের উত্তর আগেই সাজিয়ে রাখুন।
নিজের নামের অর্থ এবং নামের সাথে মিল রয়েছে এমন কোন বিখ্যাত ব্যক্তি ইত্যাদি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হতে পারে। তাই এ সম্পর্কে ভালোমতো ধারণা রাখুন।
আপনার বুদ্ধিমত্তা যাচাই করার জন্য বিভিন্ন ভাবে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে আপনাকে প্রশ্ন করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে মাথা ঠান্ডা রেখে শান্ত ভাবে প্রশ্নের উত্তর দিন।
যদি কোন প্রশ্নের উত্তর জানা না থাকে তাহলে মার্জিত ভাবে অপারগতা প্রকাশ করুন।
ভাইভার দিন যথেষ্ট সময় হাতে নিয়ে ভাইভার জন্য বের হতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কেন্দ্রে পৌঁছাতে হবে।
যথাযথ অফিসিয়াল ড্রেস আপ করে মার্জিত ভাবে ভাইভা বোর্ডে উপস্থিত হতে হবে। ছেলেরা স্যুট-টাই এবং মেয়েরা শাড়ি পড়বেন।
ভাইভা বোর্ডে সালাম দিয়ে প্রবেশ করুন এবং বসতে বললে বসুন। মার্জিত ভাবে চেয়ারে বসবেন।
কাগজপত্র গোছানো থেকে শুরু করে সকল কাজ ভাইভার দিনের আগেই সম্পন্ন করুন।
ভাইভার দিন যথেষ্ট সময় হাতে নিয়ে বের হবেন এবং সঠিক টাইমে কেন্দ্রে পৌঁছাবেন।
ড্রেস আপ এর ব্যাপারে খুবই সতর্ক থাকুন।
ভাইভা বোর্ডে প্রবেশ করে হেলেদুলে বসা যাবে না।
অনুমাননির্ভর কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
বোর্ড সদস্যদের সাথে কোন মতানৈক্য করবেন না।
কোন প্রকার রাজনৈতিক মন্তব্য বা দর্শন প্রকাশ করবেন না।
কথার ভাষায় আঞ্চলিকতা পরিহার করুন।
৪৯তম স্পেশাল বিসিএস শিক্ষা (বুক লিস্ট):
অনেকেই বুঝতে পারেন না যে, বিসিএস এর প্রস্তুতির জন্য কি কি বই পড়া লাগবে। তাই আপনাদের প্রস্তুতির সহায়তার জন্য বর্তমান ৪৯তম স্পেশাল বিসিএস এর সিলেবাস অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের তালিকা এখানে উল্লেখ করা হল।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য অংশের প্রস্তুতির জন্য নিম্নের বইগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে:
নবম, দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা ১ম ও ২য় পত্র বোর্ড বই
প্রার্থীর নিজের একাডেমিক বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য অনার্স ও মাস্টার্সের নির্ধারিত বই।
বেসিক ধারণার জন্য একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বিষয় সংশ্লিষ্ট বোর্ড বই।
বাজারে প্রচলিত MCQ Based গাইড বই।
৪৯তম স্পেশাল বিসিএস (শিক্ষা) শর্ট সাজেশন:
বাংলা ব্যাকরণ:
বিগত ৩৫-৪৬ তম বিসিএসের বাংলা ব্যাকরণের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, বানান ও বাক্য শুদ্ধি, ধ্বনি, বর্ণ, শব্দ, সন্ধি, সমাস, কারক ও বিভক্তি, প্রত্যয়, পদ সমার্থক শব্দ, বিপরীতার্থক শব্দ, প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ, পরিভাষা, বাগধারা, এক কথায় প্রকাশ, উপসর্গ এই টপিকগুলো থেকে অধিক প্রশ্ন এসেছে। সুতরাং এই টপিকগুলোতে অধিক মনোযোগ দিতে হবে।
বাংলা সাহিত্য:
প্রাচীন ও মধ্যযুগের বিভিন্ন সৃষ্টিকর্ম যেমন- চর্যাপদ, মঙ্গলকাব্য, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, বৈষ্ণব সাহিত্য, জীবনী সাহিত্য, অনুবাদ সাহিত্য, রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান, পুঁথি সাহিত্য, নাথ সাহিত্য, কবিওয়ালা শায়ের, জঙ্গনামা, মার্সিয়া সাহিত্য, ডাক ও খনার বচন, লোক সাহিত্য, গীতিকা ইত্যাদি সম্পর্কে জানুন। পাশাপাশি এদের সাথে সম্পর্কিত কবি ও লেখক যেমন- লুইপা (চর্যাপদের প্রথম পদটি তার লেখা এবং আদি কবি হিসেবে পরিচিত), কাহ্নপা, সরহ পা (সরহপাদ বা রাহুলভদ্র নামেও পরিচিতি ), শবরপা, ডোম্বীপা( ত্রিপুরা বা মগধের রাজা), ভুসুকুপা, কুক্কুরীপা (চর্যার একমাত্র মহিলা কবি), বড়ু চণ্ডীদাস (বৈষ্ণব পদাবলীর অন্যতম কবি), বিদ্যাপতি, কৃত্তিবাস ওঝা (রামায়ণের অনুবাদক), শাহ মুহম্মদ সগীর (বাঙালি মুসলিম কবিদের মধ্যে প্রাচীনতম), আলাওল, মুকুন্দরাম চক্রবর্তী (চণ্ডীমঙ্গল রচয়িতা), মালাধর বসু (শ্রীকৃষ্ণবিজয় রচয়িতা) , কোরেশী মাগন ঠাকুর, ভারতচন্দ্র রায়(মঙ্গলকাব্যের শেষ কবি), দ্বিজ কানাই (মনসামঙ্গল কাব্য রচয়িতা), বিজয়গুপ্ত (পদ্মাপুরাণ রচয়িতা), দৌলত উজির বাহরাম খান (জঙ্গনামা রচয়িতা) প্রমুখ এবং তাদের সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে জানুন।
আধুনিক যুগে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত, উইলিয়াম কেরি, রাজা রামমোহন রায়, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, মাইকেল মধুসূদন, ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, প্যারীচাঁদ মিত্র, বিহারীলাল চক্রবর্তী, মীর মশাররফ হোসেন, প্রমথ চৌধুরী, জসীমউদ্দিন, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, জীবনানন্দ দাশ, বুদ্ধদেব বসু, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, বিষ্ণু দে, অমিয় চক্রবর্তী, আলাউদ্দিন আল আজাদ, বেগম রোকেয়া, সুফিয়া কামাল, সৈয়দ মুজতবা আলী, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, ফররুখ আহমদ, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, মুনীর চৌধুরী, ইসমাইল হোসেন সিরাজী, জহির রায়হান, রাবেয়া খাতুন, আহমদ শরীফ, দীনেশচন্দ্র সেন, সেলিম আল দীন, নূরুল মোমেন, শওকত ওসমান, কায়কোবাদ, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, নির্মলেন্দু গুণ, হুমায়ুন আজাদ, সৈয়দ শামসুল হক, মুহম্মদ আব্দুল হাই,শামসুর রাহমান, আবুল হাসান, শহীদুল জহির, আবুল ফজল ইত্যাদি থেকে অধিক প্রশ্ন এসেছে। সাথে বিখ্যাত পত্র-পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকাল থেকে ২৯টি, ভাষা আন্দোলন সম্পর্কিত সাহিত্য থেকে ১১টি, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সাহিত্য থেকে ১১টি, বিভিন্ন উপন্যাস সংক্রান্ত ৬টি, মহাকাব্য, গীতিকবিতা ও সনেট থেকে ৪টি, ছদ্মনাম ও উপাধি থেকে ৩টি, নাটক ও ছন্দ প্রকরণ থেকে ৫টি, গদ্য ও সঙ্গীত থেকে ৪টি প্রশ্ন এসেছে। এই টপিকগুলো গুরুত্বসহকারে পড়লে কমন পাওয়া যাবে আশা করা যায়।
English Grammar:
বিগত ৩৫-৪৬ তম বিসিএস এর প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে, Noun, Verb, Adjective, Adverb, Preposition, Participle, Number, Article, Determiner, Idiom and Phrase, Adverbial Clause, Adjective Clause, Synonyms & Antonyms, Spellings, Tense, Voice, Narration, Words, Substitutions, Subject-verb-agreement, Group Verb, Right forms of verb, Corrections, Suffix-Prefix ইত্যাদি টপিক থেকে অধিক প্রশ্ন এসেছে।
Literature:
ইংরেজি সাহিত্য অংশে Elizabethan period থেকে 21st Century পর্যন্ত বিভিন্ন সাহিত্যকর্ম ও লেখকের নাম জানতে হবে। সাধারণত ইংরেজি সাহিত্য থেকে ৫ নম্বর থাকবে। Elizabethan period, Romantic Period, Victorian Period, Modern Period এর গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক যেমন- William Shakespeare, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, William Wordsworth, W. B. Yeats, S. T. Coleridge, Robert Browning, Charles Dickens, Thomas Gray, Ben Jonson, Jonathon Swift, P. B. Shelley, E. M. Forster, Thomas Hardy, Jane Austen, John Milton, Henry Fielding, John Dryden, Alfred Tennyson, Lord Byron, Emily Bronte, John Donne, Christopher Marlowe, Alexander Pope, John Keats, William Blake, D. H. Lawrence, O’Henry, George Orwell, T. S. Eliot সম্পর্কে ধারণা অর্জন করুন।
বাংলাদেশ বিষয়াবলি:
প্রাচীনকাল হতে সমসাময়িক কালের ইতিহাস, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি, বাংলাদেশের কৃষিজ সম্পদ (ফসলের উচ্চফলনশীল জাত, অর্থকরী ফসল, বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহ,বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদ, বিভিন্ন কালচার, বাংলাদেশের প্রাণিজ সম্পদ, বাংলাদেশের পানি সম্পদ,সেচ প্রকল্প, বাঁধ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ, বাংলাদেশের বনজ সম্পদ(সুন্দরবন), শস্য, উৎপাদন এবং এর বহুমুখীকরণ, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও জনশুমারি (জনশুমারি ও গৃহগণনা, জনসংখ্যা ও আয়তনে ক্ষুদ্রতম-বৃহত্তম ইত্যাদি), জাতি, গোষ্ঠী ও উপজাতি সংক্রান্ত, বাংলাদেশের অর্থনীতি: উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রেক্ষিত ও পঞ্চবার্ষিকী বিষয়াদি, অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০২৪, জাতীয় আয়-ব্যয়, বাজেট ২০২৫-২৬, রাজস্ব নীতি ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR), পুঁজিবাজার, শেয়ার বাজার, মুদ্রাব্যবস্থা, বাংলাদেশ ব্যাংক, দারিদ্র্য বিমোচন, বাংলাদেশের শিল্প ও বাণিজ্য, শিল্প উৎপাদন, পণ্য আমদানি ও রপ্তানীকরণ, গার্মেন্টস শিল্প ও এর সার্বিক ব্যবস্থাপনা, বৈদেশিক লেন-দেন, অর্থ প্রেরণ, ব্যাংক, বীমা ব্যবস্থাপনা, বাংলাদেশের সংবিধান: প্রস্তাবনা ও বৈশিষ্ট্য, মৌলিক অধিকারসহ রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিসমূহ, সংবিধানের সংশোধনীসমূহ, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ও পদসমূহ, রাজনৈতিক দলসমূহের গঠন, ভূমিকা ও কার্যক্রম ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের পারস্পরিক সম্পর্ক সুশীল সমাজ ও চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীসমূহ এবং এদের ভূমিকা, বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা আইন, শাসন ও বিচার বিভাগসমূহ আইন প্রণয়ন, নীতি নির্ধারণ জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা কাঠামো, প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস ও সংস্কার, বাংলাদেশের জাতীয় অর্জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনাসমূহ জাতীয় পুরস্কার বাংলাদেশের খেলাধুলাসহ চলচ্চিত্র, গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্ট ইত্যাদি বিষয় গুলো বিস্তারিত আকারে পড়তে হবে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি:
বিশ্বের সাম্প্রতিক ও চলমান ঘটনাপ্রবাহ; বৈশ্বিক ইতিহাস, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, ভূ-রাজনীতি(বিশ্ব সভ্যতা, গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ ও বিপ্লব, আঞ্চরিক ও আন্তর্জাতিক জোট, ভূ-রাজনীতির সাথে জড়িত বিষয়াবলি, ভৌগোলিক বিরোধপূর্ণ স্থান, বিরোধপূর্ণ সীমান্ত ও ভৌগোলিক সীমারেখা, আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন UNCLOS); আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্ক(সামরিক জোট ও পুলিশ সংস্থা, সামরিক চুক্তি, বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র, গণহত্যা সনদ, পরমাণু চালিত সাবমেরিন, বিভিন্ন দেশের মিলিটারি ঘাঁটি ইত্যাদি); বিভিন্ন সংস্থার সর্বশেষ শীর্ষ সম্মেলন, ব্রিকস সম্মেলন ২০২৫, ২৯তম কপ(COP) সম্মেলন, রিপোর্ট ও সমীক্ষা, আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও কূটনীতি (পরিবেশ সংক্রান্ত দিবস, গ্রিন হাউজ, আবহাওয়া ও জলবায়ু, পরিবেশ দূষণ, এসিড বৃষ্টি, ধরিত্রী সম্মেলন, COP সম্মেলন, রিও কনফারেন্স, পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা ও কনভেনশন, পরিবেশ বিষয়ক কূটনীতি ইত্যাদি); আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদি (জাতিসংঘ, SAARC, ASEAN, OIC,NAM,BIMSTEC, World Bank, IMF, WTO, ADB, IDB, EU, G-7, G-20, G-77, D-8, APEC, OPEC, BRICS,BENELUX, ACU, অর্থনৈতিক বাণিজ্যিক চুক্তি ইত্যাদি) সম্পর্কে বিস্তারিত পড়তে হবে। এছাড়া সিভিল সার্ভিসের গোড়াপত্তন এবং যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের ইতিহাস ও যাবতীয় তথ্য সম্পর্কে জানতে হবে।
গাণিতিক যুক্তি:
পাটিগণিত, বীজগণিত ও জ্যামিতি অংশে প্রতিটি অধ্যায় ধরে ধরে সিলেবাস অনুযায়ী নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে। পাটিগণিত অংশে বাস্তব সংখ্যা,বর্গ ও বর্গমূল নির্ণয়, ল.সা.গু ও গ.সা.গু, ভগ্নাংশ, শতকরা, লাভ-ক্ষতি, সুদকষা অনুপাত-সমানুপাত সহ প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় থেকে নিয়মিত সমস্যা গুলো সমাধান করতে হবে। বিগত ৩৫-৪৬তম বিসিএসে প্রায় প্রত্যেকটি অধ্যায় থেকেই প্রশ্ন এসেছে।
বীজগণিত অংশে বীজগাণিতিক সূত্রাবলি ও মান নির্ণয়, উৎপাদকে বিশ্লেষণ, বীজগাণিতিক ল.সা.গু ও গ.সা.গু, সূচক, লগারিদম, সরল সমীকরণ, সরল সহসমীকরণ ও দ্বিঘাত সমীকরণ, অসমতা, সমান্তর ও গুণোত্তর অনুক্রম ও ধারা, সেট ও ভেনচিত্র, পরিসংখ্যান, সম্ভাব্যতা, বিন্যাস ও সমাবেশ প্রতিটি অধ্যায়ে বেসিক স্ট্রং করতে হবে।
জ্যামিতি অংশে রেখা ও কোণ, বহুভুজ সংক্রান্ত, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, পরিমিতি, উপপাদ্য, বৃত্ত, ঘনবস্তু ইত্যাদি টপিকগুলোতে দুর্বলতা থাকলে সেগুলো সমাধান করতে হবে।
গাণিতিক যুক্তির বিগত সালের প্রশ্নগুলো সমাধান করলে ভালো একটি প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হবে। পরীক্ষায় সময় মেইনটেইন করার জন্য আগে থেকে সময় ধরে প্রশ্ন সমাধান করতে হবে এবং গণিতের শর্টকাট টেকনিকগুলো অনুসরণ করতে হবে।
মানসিক দক্ষতা:
মানসিক দক্ষতার বিশেষ কয়েকটি টপিক রয়েছে যেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রায়ই এসকল টপিক থেকে প্রশ্ন এসে থাকে। যেমন- সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ, শুদ্ধ বানান (বাংলা এবং ইংরেজি), চিত্র বের করা, ভারসাম্য রক্ষা, দিক নির্ণয়, আয়নায় শব্দের প্রতিফলন, চিত্রে যৌক্তিক সংখ্যা বসানো, সিরিজ সম্পন্নকরণ, সাদৃশ্য, শূণ্যস্থানপূরণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণের সামর্থ্য, বিভিন্ন গাণিতিক সমস্যা, সমস্যা সমাধান, পঞ্জিকা(দিন, তারিখ,মাস,বছর নির্ণয়), ঘড়ি সংক্রান্ত সমস্যা ইত্যাদি। এই টপিকগুলো নিয়মিত অনুশীলন করলে এবং বিগত সালের প্রশ্নগুলো সমাধান করলে মানসিক দক্ষতার একটি ভালো প্রস্তুতির পাশাপাশি পরীক্ষায় প্রশ্ন কমন পাওয়া যাবে আশা করা যায়।
৪৯তম স্পেশাল বিসিএস (শিক্ষা) এ সফল হওয়ার কৌশল:
৪৯তম বিশেষ (শিক্ষা) বিসিএসএ সফল হতে হলে সামনের ২টি মাস পুরোপরি কাজে লাগাতে হবে।
নিয়মিত পড়াশুনার জন্য লক্ষ্য তৈরি করুন।
বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, মানসিক দক্ষতা ও গাণিতিক যুক্তি প্রত্যেকটি বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ করুন।
বিগত বিসিএস থেকে নির্ধারিত বিষয়ের প্রশ্নগুলো ব্যাখ্যা সহ পড়ে ফেলুন।
৭ম-১০ম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ড বই থেকে পিএসসির সিলেবাসে যে টপিকগুলো আছে সেগুলো পড়ুন।
পরীক্ষায় ০.৫০ এর নেগেটিভ মার্ক এড়াতে যে প্রশ্নগুলো বেশি রিপিট হয় সেগুলো বেশি উত্তর করার চেষ্টা করুন।
আপনার একাডেমিক বিষয়ের উপর সমান গুরুত্ব দিন।
পিএসসির ওয়েবসাইট থেকে নিজের একাডেমিক বিষয়ের সিলেবাসটি ভালোমতো দেখে নিন।
একাডেমিক বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো ভালোমতো আয়ত্ত করুন।
কোন টপিকগুলো পড়তে হবে তা জানার পাশাপাশি কোন টপিকগুলো বাদ দিতে হবে এই সম্পর্কে জানুন।
নিয়মিত পত্রিকা থেকে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি সম্পর্কে ধারণা নিন।
একাডেমিক বিষয়ের MCQ প্রস্তুতির জন্য অনার্স ও মার্স্টাসের (কিছু ক্ষেত্রে HSC এর বোর্ড বই) নির্ধারিত বই থেকে পিএসসির সিলেবাসের সাথে মিল রেখে বেসিক বিষয়গুলো খুব ভালোমতো পড়ুন। সাথে বাজারে প্রচলিত ভালোমানের একটি MCQ Based গাইড বই অনুসরণ করতে পারেন।
যদি বুঝতে না পারেন যে কীভাবে পড়তে হবে বা কোন টপিকগুলো পড়তে হবে তাহলে বিদ্যাবাড়ির বিশেষ আয়োজন49th Special BCS PRELIকোর্সে ভর্তি হতে পারেন।
এছাড়াও ঘরে বসে থেকেই আপনার একাডেমিক বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য স্বল্প খরচে বিদ্যাবাড়ির49th Special BCS Suggession Live Batch এ ভর্তি হয়ে আপনার প্রস্তুতিকে আরও মজবুত করে তুলুন।
কোচিং এ না যেয়েই ৪৯তম স্পেশাল বিসিএস প্রস্তুতি যেভাবে নিবেন:
প্রথমেই ৪৯তম স্পেশাল বিসিএস এর সার্কুলারটি ভালোমতো দেখে নিন।
বিষয়ভিত্তিক সিলেবাস ও মানবণ্টন সম্পর্কে ভালোমতো ধারণা নিন।
নিয়মিত পড়াশুনার জন্য একটি কার্যকর রুটিন তৈরি করুন।
দৈনিক কত ঘণ্টা পড়বেন এবং কোন বিষয়গুলো পড়বেন সেটি নির্ধারণ করুন।
৪৯তম স্পেশাল বিসিএসের সাধারণ বিষয় ও আপনার একাডেমিক বিষয়টি সমন্বয় করে পড়ুন।
সাধারণ বিষয়গুলো পড়ার জন্য নির্ধারিত বোর্ড বই সহ একটি ভালো গাইডবই অনুসরণ করুন।
আপনার একাডেমিক বিষয়গুলো পড়ার জন্য অনার্স ও মার্স্টাসের নির্ধারিত বই সহ একটি ভালো গাইড বই অনুসরণ করুন।
একটি ভালো জব সল্যুশন থেকে বিগত বিসিএস ও সরকারি চাকরির প্রশ্নগুলো ব্যাখ্যা সহ পড়ুন।
নিয়মিত ১টি বাংলা ও ১টি ইংরেজি পত্রিকা পড়ুন।
কীভাবে প্রস্তুতি নিবেন তা বুঝতে না পারলেবিদ্যাবাড়ির ইউটিউব থেকে বিভিন্ন বিষয়ে টিউটোরিয়াল দেখে দেখে প্র্যাকটিস করতে পারেন।
৪৯তম স্পেশাল বিসিএস (শিক্ষা) এর জন্য অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণের পদ্ধতি:
প্রার্থীকে Teletalk BD Ltd এর Web Address: http://bpsc.teletalk.com.bdঅথবা বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের Web Address: www.bpsc.gov.bd এর মাধ্যমে কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত অনলাইন আবেদনপত্র (BPSC Form-1) পূরণ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম এবং ফি জমাদান সম্পন্ন করতে হবে।
প্রার্থী উক্ত নির্দেশনার অংশটি অনলাইন ফরম পূরণের পূর্বে ডাউনলোড করে প্রতিটি নির্দেশনা ভালোভাবে দেখে ও বুঝে নিতে পারবেন।
BPSC Form-1 অপশনে প্রবেশ করলে Technical Cadre/Professional Cadre এর Application Form টি দৃশ্যমান হবে।
প্রার্থীকে Application Form এর প্রতিটি বিষয় নির্দেশনা অনুযায়ী পূরণ করতে হবে।
BPSC Form-1-এর ৩টি অংশ রয়েছে:
Part-1: Personal Information
Part-2: Educational Qualification,
Part-3: Cadre Option.
BPSC Form-1 এর প্রতিটি field-এ প্রদত্ত তথ্য নির্দেশনা অনুসরণ করে যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে।
প্রার্থীকে অনলাইন আবেদনপত্রের ডিক্লারেশন অংশে এ মর্মে ঘোষণা দিতে হবে যে, আবেদনপত্রে প্রার্থীর প্রদানকৃত সকল তথ্য সঠিক এবং কোন তথ্য অসত্য প্রমাণ হলে অথবা প্রার্থী পরীক্ষার পূর্বে বা পরে কোন প্রতারণা বা দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করলে, এমনকি নিয়োগের পরে যে কোন পর্যায়ে প্রার্থিতা বা নিয়োগ এর সুপারিশ বাতিল করা এবং কমিশন কর্তৃক গৃহীতব্য যে কোন নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন করার অযোগ্য ঘোষণাসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।
BPSC Form-1 এর প্রতিটি অংশ (Part-1, Part-2 এবং Part-3) সফলভাবে পূরণ করা হলে Application Preview দেখা যাবে।
Application Preview এর নির্ধারিত স্থানে প্রার্থীকে 300 x 300 pixel (দৈর্ঘ্য x প্রস্থ) এর কম বা বেশি নয় এবং File Size 100KB এর বেশি গ্রহণযোগ্য নয়, এরূপ মাপের অনধিক তিন মাস পূর্বে তোলা তার রঙিন ছবি আপলোড করতে হবে। আবেদনে সাদাকালো ও সানগ্লাসসহ ছবি গ্রহণযোগ্য হবে না। Applicant's Copy-তে ছবি মুদ্রিত না হলে আবেদনপত্র বাতিল হবে।
Application Preview-তে স্বাক্ষরের জন্য নির্ধারিত স্থানে 300x 80 pixel (দৈর্ঘ্য x প্রস্থ) এর কম বা বেশি নয় এবং File Size 60 KB এর বেশি নয়, প্রার্থীকে এরূপ মাপের নিজের স্বাক্ষর আপলোড করতে হবে। Applicant's Copy-তে স্বাক্ষর মুদ্রিত না হলে আবেদনপত্র বাতিল হবে।
অনলাইনে আবেদনপত্র (BPSC Form-1) যথাযথভাবে পূরণ করে নির্দেশনা অনুযায়ী ছবি ও স্বাক্ষর আপলোড করে নিবন্ধন সম্পন্ন হলে ছবিসহ Application Preview দেখা যাবে। নির্ভুলভাবে আবেদনপত্র জমা সম্পন্ন হলে প্রার্থী অনলাইনে একটি User ID সহ ছবি ও স্বাক্ষরযুক্ত একটি Applicant's Copy পাবেন।
Applicant's Copy-তে প্রার্থীর ছবি ও স্বাক্ষর অবশ্যই দৃশ্যমান হতে হবে।
এই User ID ব্যবহার করে প্রার্থী যেকোনো Teletalk প্রিপেইড মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে SMS করে ৪৯তম বিশেষ বিসিএস এর ফি বাবদ ২০০/- টাকা জমা দিবেন।
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থী, প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী পরীক্ষার ফি বাবদ ৫০/- (পঞ্চাশ) টাকা জমা দিবেন।
কোন প্রার্থী ফি জমা দিয়ে চূড়ান্তভাবে অনলাইনে আবেদন করার পর পুনরায় আবেদন করতে পারবেন না।
কোন প্রার্থী মিথ্যা, ভিন্ন/ভুল তথ্য দিয়ে একাধিকবার ফরম পূরণ করলে এবং যে কোন স্তরে তা প্রমাণ হলে তার প্রার্থিতা বাতিল হবে।
MCQ Type লিখিত পরীক্ষায় কৃতকার্য প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার পূর্বে অনলাইনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে BPSC Form-3 বাংলায় পূরণ করতে হবে। ফরম পূরণের জন্য SMS-এর মাধ্যমে প্রার্থীদের যথাসময়ে জানানো হবে। অনলাইনে পূরণকৃত BPSC Form-3 ডাউনলোড করে এক কপি প্রার্থী নিজের কাছে সংরক্ষণ করবেন।
৪৯তম স্পেশাল বিসিএস নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসা করা কিছু প্রশ্নের উত্তর:
প্রশ্ন: ৪৯ তম স্পেশাল বিসিএস এ কাট মার্ক কত? উত্তর: ৪৯তম স্পেশাল বিসিএস পরীক্ষার কাট মার্ক কত হবে আগে থেকেই বলা সম্ভব নয়। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ইত্যাদি বিষয়ের উপর কার্ট মার্ক নির্ধারিত হয়ে থাকে। যেহেতু ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হবে সেক্ষেত্রে আনুমানিক ভাবে বলা যায় যে, ১৩০-১৪০ কাটমার্ক হতে পারে।
প্রশ্ন: ৪৯ তম স্পেশাল বিসিএস পরীক্ষা কবে হবে? উত্তর: ৪৯তম স্পেশাল বিসিএস পরীক্ষার তারিখ বাংলাদেশ কর্ম কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত হবে। তবে আনুমানিক ভাবে বলা যায় যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে।
প্রশ্ন: স্পেশাল বিসিএস শিক্ষা কি? উত্তর: দেশের সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক সংকট দূর করতে শিক্ষা ক্যাডারের বিশেষ বিসিএস এর আয়োজন করা হয়ে থাকে। ৪৯তম স্পেশাল বিসিএস এর মাধ্যমে সরকারি সাধারণ কলেজে ৬৫৩ জন ও সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ সমূহে ৩০ জন প্রভাষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
Leave A Reply
Already have an account ? Sign in to leave a reply
Comments