আপডেট:
04 November 2024

ইমেইল মার্কেটিং কি? কত প্রকার? কিভাবে করবেন? আদ্যোপান্ত জানুন

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের যুগে ইমেইল মার্কেটিং (Email Marketing) অত্যন্ত কার্যকর এবং জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হিসেবে পরিচিত। এটা শুধু ব্যবসায়িক প্রমোশন নয়, বরং এক ধরনের যোগাযোগের মাধ্যমও।

এই আর্টিকেলে আমরা ইমেইল মার্কেটিংয়ের সমস্ত দিক নিয়ে আলোচনা করব। আপনি জানতে পারবেন ইমেইল মার্কেটিং কি, এর প্রকারভেদ, কেন এটা গুরুত্বপূর্ণ, এর সুবিধা এবং ভবিষ্যৎ কেমন হতে পারে।

এছাড়া, কিভাবে ইমেইল মার্কেটিং করবেন এবং কিভাবে এর মাধ্যমে আয় করবেন, তাও জানা যাবে।

 

ইমেইল মার্কেটিং কি?

ইমেইল মার্কেটিং হলো একটা ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি, যেখানে বিভিন্ন প্রমোশনাল কনটেন্ট বা নোটিফিকেশন ইমেইলের মাধ্যমে পাঠানো হয়।

এই পদ্ধতিতে সরাসরি গ্রাহকদের কাছে প্রোডাক্ট, সার্ভিস বা বিভিন্ন অফার সম্পর্কিত তথ্য পৌঁছানো যায়।

কনটেন্ট সাধারণত সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য ডিজাইন করা হয় এবং উদ্দেশ্য থাকে গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং তাদেরকে কোনো প্রোডাক্ট/সার্ভিস নিতে উদ্বুদ্ধ করা।

ইমেইল মার্কেটিং মূলত ২ টি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়:

১. গ্রাহক আকৃষ্ট করা: নতুন গ্রাহক আকৃষ্ট করতে বা বিদ্যমান গ্রাহকদের ধরে রাখতে।

২. বিক্রয় বৃদ্ধি করা: বিক্রয় বাড়ানোর জন্য প্রচারণা ও বিশেষ অফারের মাধ্যমে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করা।

 

ইমেইল মার্কেটিং এর ইতিহাস

ইমেইল মার্কেটিংয়ের শুরুটা বেশ পুরনো। প্রথম ইমেইল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন চালানো হয় ১৯৭৮ সালে, যখন গ্যারি থমসন (Garry Thomson) নামক একজন মার্কেটার প্রথমবারের মতো ৪০০ গ্রাহকের কাছে ইমেইল পাঠান। যা থেকে তিনি প্রায় ১৩ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করতে সক্ষম হন।

এই সময় থেকেই মূলত ইমেইল মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে।

সেই সময়ের ইমেইল ক্যাম্পেইনগুলো সাধারণত প্রমোশনাল ছিল। তখন প্রযুক্তির বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা থাকার কারণে প্রচুর সমস্যা ছিল, যেমন স্প্যাম ফিল্টার কাজ করত না, ইমেইল ব্যবহারকারী ক্লায়েন্টও ছিল অল্প।

কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে ইমেইল মার্কেটিং অনেকটাই পরিবর্তিত হয়েছে। আজকাল ইমেইল মার্কেটিং টুলস অনেক বেশি উন্নত এবং কার্যকর।

 

ইমেইল মার্কেটিং কত প্রকার?

ইমেইল মার্কেটিং বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। এটা নির্ভর করে আমাদের উদ্দেশ্য এবং কন্টেন্টের উপর। নিচে ইমেইল মার্কেটিং এর কয়েকটি জনপ্রিয় ধরন নিয়ে আলোচনা করা হলো-

 

১. প্রোমোশনাল ইমেইল: এই ধরণের ইমেইলের মাধ্যমে মূলত কোনো অফার, ডিসকাউন্ট, বা নতুন প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানানো হয়।

২. ট্রানজেকশনাল ইমেইল: কাস্টমার কোনো প্রোডাক্ট কিনলে বা রেজিস্ট্রেশন করলে এই ধরনের ইমেইল পাঠানো হয়। যেমন- অর্ডার কনফার্মেশন বা শিপমেন্ট নোটিফিকেশন।

৩. নিউজলেটার: এই ধরণের ইমেইল নির্দিষ্ট সময় পর পর পাঠানো হয় যেখানে বিভিন্ন আপডেট, খবর, ব্লগ পোস্ট বা প্রাসঙ্গিক কন্টেন্ট শেয়ার করা হয়।

৪. সার্ভিস আপডেট ইমেইল: এই ধরণের ইমেইল গ্রাহকদের সার্ভিস আপডেট এবং নতুন ফিচার সম্পর্কে জানানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।

 

ইমেইল মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ন?

বেশ কিছু কারণে ইমেইল মার্কেটিং এর গুরুত্ব অনেক। এই সেকশনে আমরা এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো-

১. সরাসরি যোগাযোগ: ইমেইল সরাসরি কাস্টমারের ইনবক্সে পৌঁছায়। এজন্য বিভিন্ন দেশে বিজ্ঞাপনের অন্যান্য মাধ্যমের তুলনায় ইমেইল মার্কেটিং বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

২. পার্সোনালাইজেশন: ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি কাস্টমাইজড কনটেন্ট গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে পারেন, যেটা গ্রাহকদের আরও বেশী আকৃষ্ট করে।

৩. মেট্রিক্স ট্র্যাকিং: ইমেইল মার্কেটিংয়ের রেজাল্ট সহজে অ্যানালাইজ করা যায়। ওপেন রেট, ক্লিক রেট, কনভার্সন রেট ইত্যাদি মেট্রিক্স ব্যবহার করে ক্যাম্পেইনের রেজাল্ট যাচাই করা যায়।

৪. ফিডব্যাক গ্রহণ: ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি গ্রাহকদের ফিডব্যাক নিতে পারেন এবং এর ভিত্তিতে গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী আপনার প্রমোশন বা সার্ভিস আরও ডেভেলপ করে নিতে পারেন।

৫. লং-টার্ম এনগেজমেন্ট: ইমেইলের মাধ্যমে আপনি কাস্টমারদের সাথে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি করতে পারবেন। যারা ইমেইল সাবস্ক্রাইব করেছেন, তারা নিয়মিত আপডেট পেলে ব্র্যান্ডের সাথে বেশি এনগেজড থাকবে।

 

ইমেইল মার্কেটিং এর সুবিধা সমূহ

এই সেকশনে আমরা ইমেইল মার্কেটিংয়ের কিছু প্রধান সুবিধা নিয়ে আলোচনা করবো-

১. কম খরচে মার্কেটিং: ইমেইল মার্কেটিং অন্যান্য মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজির তুলনায় অনেক বেশি সাশ্রয়ী। এতে অনেক অর্থ খরচ করার প্রয়োজন হয় না।

শুধু একটি ভালো ইমেইল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম (যেমন- Mailchimp) ব্যবহার করতে হয় এবং কিছু ডিজাইন কস্ট থাকতে পারে।

২. বেশি ROI (Return on Investment): ইমেইল মার্কেটিংয়ের ROI (Return on Investment) অন্যান্য মার্কেটিং মাধ্যমের তুলনায় অনেক বেশি।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, ইমেইল মার্কেটিংয়ের ROI ৪,০০০% এরও বেশি হতে পারে, যা প্রমাণ করে যে এটি অত্যন্ত কার্যকর।

৩. গ্রাহকের সাথে সরাসরি যোগাযোগ: ই-মেইলের মাধ্যমে আপনি আপনার গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।

সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে আপনি গ্রাহকদের পার্সোনালাইজড অফার, গুরুত্বপূর্ণ আপডেট, এবং তাদের ইন্টারেস্ট অনুযায়ী কন্টেন্ট পাঠাতে পারেন।

৪. অটোমেশন সুবিধা: ইমেইল মার্কেটিংয়ের জন্য বিভিন্ন ধরণের সফটওয়্যার এবং টুলস রয়েছে যা ইমেইল ক্যাম্পেইন অটোমেট করতে সাহায্য করে।

অটোমেশন টুলস যেমন- Mailchimp, HubSpot, এবং Sendinblue ইত্যাদি ব্যবহার করে আপনি অটম্যাটিক্যালি ইমেইল সেন্ড করতে পারেন।

এই অটোমেশন সুবিধার মাধ্যমে, সময় এবং শ্রম বাঁচে এবং আপনার ইমেইল ক্যাম্পেইনগুলি আরও সুন্দর ও ইফিশিয়েন্টলি পরিচালনা করা যায়।

৫. লক্ষ্যভিত্তিক মার্কেটিং: ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি লক্ষ্যভিত্তিক মার্কেটিং করতে পারেন।

আপনার ইমেইল তালিকায় থাকা গ্রাহকদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে রাখতে পারেন। যেমন- নতুন গ্রাহক, পুরনো গ্রাহক, ভ্যালুয়েবল গ্রাহক ইত্যাদি।

এর মাধ্যমে আপনি গ্রাহকদের হিস্টোরি অনুযায়ী পার্সোনালাইজড কনটেন্ট পাঠাতে পারবেন।

৬. টেস্টিং এবং অপটিমাইজেশন: ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন কন্টেন্ট, সাবজেক্ট লাইন, এবং ইমেইল ডিজাইন টেস্ট করতে পারেন।

A/B টেস্টিং বা স্প্লিট টেস্টিং ব্যবহার করে আপনি দেখতে পারেন কোন টেমপ্লেট বা কন্টেন্ট গ্রাহকদের বেশি আকর্ষণ করছে এবং সেই অনুযায়ী আপনার ক্যাম্পেইন অপটিমাইজ করতে পারেন।

 

ইমেইল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কেমন?

ইমেইল মার্কেটিংয়ের ভবিষ্যৎ অনেক আশাপূর্ণ বলা যায়। প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে এটি আরও উন্নত হবে।

বিশেষ করে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) এবং মেশিন লার্নিংয়ের ব্যবহার ইমেইল মার্কেটিংকে আরও দক্ষ এবং পার্সোনালাইজড করে তুলছে।

চলুন আরও কিছু দিক জেনে নেওয়া যাক-

১. পার্সোনালাইজেশন: AI এবং ডেটা অ্যানালাইজারের সাহায্যে ইমেইল কনটেন্ট আরও পারসোনালাইজড করা হবে। কাস্টমারের ইন্টারেস্ট এবং ক্রয়ের হিস্টোরি অনুযায়ী কনটেন্ট প্রোভাইড করা হবে।

২. অটোমেশন: ইমেইল ক্যাম্পেইনগুলো আরও বেশী অটোমেট এবং স্পেসিফিক হতে থাকবে। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অটোমেটেড ইমেইল সিকুয়েন্স আরও উন্নত হবে।

৩. মোবাইল অপ্টিমাইজেশন: মোবাইল ডিভাইসে ইমেইল ব্যবহারের হার বাড়ছে, তাই ইমেইল ডিজাইনগুলো মোবাইলের জন্য অপ্টিমাইজড করা হবে।

৪. ইন্টিগ্রেশন: বিভিন্ন মার্কেটিং টুল এবং Customer Relationship Management (CRM) সিস্টেমের সাথে ইমেইল মার্কেটিং আরও ইন্টিগ্রেটেড হবে। এতে করে আপনি সহজেই সমস্ত ডেটা ট্র্যাক করতে পারবেন।

 

কিভাবে ইমেইল মার্কেটিং করবেন?

ইমেইল মার্কেটিং করার নিয়ম বেশ সহজ। যদি আপনি সঠিকভাবে করতে পারেন, তবে আপনার ব্যবসার জন্য এটা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হতে পারে। চলুন আমরা ইমেইল মার্কেটিং এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ দেখে নিই-

১. ইমেইল লিস্ট তৈরী: প্রথমে একটি ইমেইল সাবস্ক্রাইবার লিস্ট তৈরী করুন। আপনার গ্রাহকদের ই-মেইল আইডি কালেক্ট করুন। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট, এবং অন্যান্য চ্যানেল থেকে এটা কালেক্ট করতে পারেন।

২. ইমেইল কনটেন্ট ডিজাইন করুন: আপনার ইমেইল কনটেন্ট অ্যাট্রাক্টিভ এবং কাস্টমারের প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টমাইজড হওয়া উচিত। খেয়াল রাখবেন, কনটেন্ট যেন পরিষ্কার, সংক্ষিপ্ত এবং সরল ভাষায় হয়।

৩. অটোমেশন টুলের ব্যবহার: ইমেইল অটোমেশন টুলস ব্যবহার করুন যেমন- Mailchimp, Sendinblue, বা HubSpot.

এই টুলগুলো আপনাকে ইমেইল পাঠানোর সময় ঠিক করে দেওয়া, ট্র্যাকিং, এবং অন্যান্য প্রসেস অটোমেট করতে সাহায্য করবে।

৪. টেস্টিং এবং এনালাইসিস করুন: বিভিন্ন ইমেইল ক্যাম্পেইনের রেজাল্ট অ্যানালাইজ করুন। ওপেন রেট, ক্লিক রেট এবং কনভার্সন রেট ইত্যাদি অ্যানালাইজ করে কেমন পরিবর্তন আনা দরকার তা নির্ধারণ করুন।

৫. পার্সোনালাইজ করুন: গ্রাহকের নাম এবং তাদের আগ্রহের ওপর ভিত্তি করে কনটেন্ট কাস্টমাইজ করুন। এটি আপনার ইমেইলগুলিকে আরও বেশী পারসোনালাইজড এবং আকর্ষণীয় করে তুলবে।

৬. ইমেইল লিস্ট ক্লিয়ার করুন: নিয়মিতভাবে আপনার ইমেইল লিস্ট আপডেট করুন। যেসব ইমেইল আইডি ইনঅ্যাক্টিভ বা ভুল সেগুলি বাদ দিন যাতে আপনার ইমেইল ক্যাম্পেইনগুলি আরও বেশী কার্যকর হয়।

৭. স্প্যাম ফিল্টার এড়ান: ইমেইল পাঠানোর সময় নিশ্চিত করুন যেন আপনার ইমেইল স্প্যাম ফিল্টারে না পড়ে। এই জন্য ইমেইলের বিষয়বস্তু এবং লিঙ্কগুলো সঠিকভাবে চেক করে নিবেন।

 

ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করার উপায়

ইমেইল মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায় তা আমরা এই সেকশন হতে জানবো-

১. ফ্রিল্যান্সিং: ভাল দক্ষতা থাকলে আপনি Email Marketing করে Freelancing এর কাজ করতে পারবেন । অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের ইমেইল ক্যাম্পেইন পরিচালনার জন্য ফ্রিল্যান্সার নিয়োগ করে থাকে।

এ ধরণের কাজ পেতে আপনি LinkedIn, Upwork, PeoplePerHour, Fiverr, Truelancer এর মত জনপ্রিয় প্লাটফর্মে অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে পারনে।

২. কোর্স বিক্রি: আপনি যদি ইমেইল মার্কেটিংয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে নিজে কোর্স তৈরি করে তা বিক্রি করতে পারেন। বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কোর্স বিক্রির মাধ্যমেও আয় করা সম্ভব।

৩. ব্লগিং ও কনটেন্ট ক্রিয়েশন: ইমেইল মার্কেটিং সম্পর্কে ব্লগ লিখে বা কনটেন্ট তৈরি করে সেগুলোর মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারেন।

 

বাংলায় করুন ইমেইল মার্কেটিং কোর্স

বাংলায় ইমেইল মার্কেটিংয়ের উপর কোর্স করার জন্য বেশ কয়েকটি উপায় আছে। চলুন, কিভাবে সহজে এই কোর্স করতে পারেন, তা দেখে নেওয়া যাক-

১. অনলাইন প্ল্যাটফর্ম

অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্মে ইমেইল মার্কেটিংয়ের উপর বিভিন্ন কোর্স পাওয়া যায়। এর মধ্যে Udemy, Coursera, এবং Skillshare বেশ জনপ্রিয়। এখানে আপনি বাংলায় কোর্স খুঁজে নিতে পারেন। কিছু কোর্সের জন্য সাবটাইটেল বাংলায়ও থাকতে পারে।

২. ইউটিউব

ইউটিউবে অনেক ইমেইল মার্কেটিং সম্পর্কিত ভিডিও আছে। এখান থেকে আপনি বাংলায় বিভিন্ন টিউটোরিয়াল দেখতে পাবেন।

৩. ফেসবুক গ্রুপ ও পেজ

ফেসবুকে ইমেইল মার্কেটিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে অনেক গ্রুপ রয়েছে। সেখানে আপনি অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন এবং বিভিন্ন কোর্সের খোঁজ পেতে পারেন।

৪. ওয়েবিনার এবং ভার্চুয়াল সেমিনার

কিছু প্রতিষ্ঠান ইমেইল মার্কেটিং নিয়ে বাংলায় ওয়েবিনার আয়োজন করে। এসব ওয়েবিনারগুলোতে অংশগ্রহণ করে আপনি সরাসরি শিখতে পারেন এবং আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে সেখানে করতে পারেন।

৫. বই

বাংলায় ইমেইল মার্কেটিংয়ের উপর বই রয়েছে। বইগুলো আপনি রকমারিতে খুঁজলেই পাবেন। এসব বই পড়েও আপনি ই-মেইল মার্কেটিং শিখতে পারেন।

৬. ফ্রি রিসোর্স

অনেক ওয়েবসাইট বা ব্লগে ফ্রি রিসোর্স পাওয়া যায়, যেখানে ইমেইল মার্কেটিংয়ের উপর বিভিন্ন টিউটোরিয়াল ও গাইডলাইন দেওয়া থাকে। এগুলো ব্যবহার করে নিজের গতিতে শিখতে পারেন।

 

শেষ কথা

ইমেইল মার্কেটিং একটি স্ট্রং এবং ইফিশিয়েন্ট মার্কেটিং টুল যা আপনার বিজনেসের জন্য অনেক সুবিধা প্রদান করতে পারে।

সঠিকভাবে ইমেইল মার্কেটিং করার নিয়ম অনুসরণ করে এবং ইফশিয়েন্ট স্ট্র্যাটেজি এপ্লাই করে আপনি আপনার ব্যবসার সাফল্য নিশ্চিত করতে পারেন।

যাইহোক, আশা করছি, এই আর্টিকেলটি আপনাকে ইমেইল মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দিয়েছে যে ইমেইল মার্কেটিং কি, কত প্রকার, কিভাবে করা হয় বা এর ভবিষ্যৎ কেমন এবং এটি কিভাবে আপনার ক্যারিয়ার বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য পূরণ করতে সহায়ক হতে পারে তা বুঝতে সাহায্য করবে।

ইমেইল মার্কেটিং থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নেওয়ার জন্য নিয়মিত আপডেট থাকা এবং নতুন প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আশা করি, আপনার ইমেইল মার্কেটিং প্রচারণা সফল হবে এবং আপনার ব্যবসায়িক লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবে। বিদ্যাবাড়ি আপনার সঙ্গে আছে।

Leave A Reply

Allready have an account ? Sign in to leave a reply

Comments

Top Categories

BCS

5

All Jobs

0

Test

0

Digital Marketing

4

Search With Tags

Latest Blogs

BCS

বিসিএস সম্পর্কে প্রচলিত ১০টি ভুল ধারণা ও বিস্তারিত বিশ্লেষণ

Shaon |

18 November 2024

BCS

বিসিএস (BCS) পরীক্ষা পদ্ধতি: গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলো বিস্তারিতভাবে জানুন

Shaon |

17 November 2024

ডাউনলোড করুন

বিদ্যাবাড়ি App

180K+

Learners

4.7

Positive
Reviews

180+

Skill based Courses

ডাউনলোড করুন বিদ্যাবাড়ি অ্যাপ,
শুরু করুন এখান থেকেই