আপডেট:
04 November 2024

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কেন শিখবো? কিভাবে শুরু করব? A to Z জানুন

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কেন শিখবো? কিভাবে শুরু করব? এগুলো যদি আপনার প্রশ্ন হয়ে থাকে তাহলে আপনি সঠিক পেজে ল্যান্ড করেছেন।

আজকের ডিজিটাল যুগে ব্যবসা সফল করতে হলে ডিজিটাল মার্কেটিং জানা প্রায় জরুরি হয়ে পড়েছে।

আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত সম্পূর্ণ গাইড লাইন পাবেন যা আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, অর্থাৎ ডিজিটাল মার্কেটিং এর A to Z জানাবে।

 

ডিজিটাল মার্কেটিং কি?

ডিজিটাল মার্কেটিং হলো একটি আধুনিক মার্কেটিং পদ্ধতি, যেখানে বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে পণ্য ও সার্ভিস প্রচার ও প্রসার করা হয়।

মূলত, ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল চ্যানেল ব্যবহার করে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে যুক্ত হওয়া এবং তাদেরকে পণ্য ও সার্ভিসের প্রতি আকৃষ্ট করা হয়।

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের টার্গেট গ্রাহকদের কাছে সহজে পৌঁছাতে পারে, এবং এসব গ্রাহকদের প্রয়োজন এবং অনলাইন আচরণের উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞাপন দেখাতে পারে।

এক্ষেত্রে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা হয়। যেমন- কনটেন্ট মার্কেটিং, SEO (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন), পেইড বিজ্ঞাপন ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।

 

ডিজিটাল মার্কেটিং কেন শিখবো?

ব্যবসার উন্নতি ও প্রসারের জন্য মার্কেটিং অপরিহার্য। আধুনিক যুগে মার্কেটিংয়ের ধরন পরিবর্তিত হয়েছে এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে চলে এসেছে।

তাই ডিজিটাল মার্কেটিং হতে পারে আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি টুল যদি আপনি কোন ব্যবসা শুরু করে থাকেন বা আপনার ব্যবসাকে আরও এগিয়ে নিতে চান, তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা আপনার জন্য জরুরী।

আজকের ডিজিটাল যুগে, মানুষ অনলাইনেই সবকিছু খুঁজে থাকে। তাই, আপনার ব্যবসাকে টার্গেটেড গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে হলে ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহার করা অপরিহার্য।

 

ডিজিটাল মার্কেটিং করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ নিচে বর্ণনা করা হল:

  • ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার ব্যবসাকে বিশ্বের যেকোনো কোণে শুধুমাত্র টার্গেটেড গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে সাহায্য করে।
  • অ্যানালগ মার্কেটিংয়ের তুলনায় ডিজিটাল মার্কেটিং এ সাধারণত খরচ কম হয় কিন্তু ফলাফল বেশী ভাল পাওয়া যায়।
  • ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার মার্কেটিং ক্যাম্পেইনগুলির রেজাল্ট অ্যানালাইসিস করতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে পারবেন।
  • অনেক ব্যবসা ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহার করছে। তাই, আপনার ব্যবসাকে প্রতিযোগিতামূলক রাখতে হলে আপনাকেও ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহার করতে হবে যদি পিছিয়ে না পড়তে চান।

 

ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি?

ডিজিটাল মার্কেটিং সাধারণত দুটি প্রধান ভাগে বিভক্ত। এগুলো হলো-

  1. অনলাইন মার্কেটিং
  2. এবং অফলাইন মার্কেটিং

অনলাইন মার্কেটিং

এই সেকশনে আমরা অনলাইন মার্কেটিং নিয়ে বিস্তারিত জানবো-

১. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO):

SEO-এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপটিমাইজ করা হয়।

এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের কনটেন্ট এমনভাবে সাজানো হয় এবং রিসার্চ করা কীওয়ার্ড এমনভাবে ন্যাচারালি রাখা হয় যেন সার্চ ইঞ্জিন সহজে বুঝতে পারে এবং ব্যবহারকারীদের সার্চ কিওয়ার্ডের সাথে মিলিয়ে সাইটটিকে র‍্যাঙ্ক করে।

 

২. সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM):

আপনি যখন কোন কিছু খুঁজতে গুগলে সার্চ করেন, তখন সবচেয়ে উপরে যে ফলাফলগুলো দেখেন, সেগুলো কিভাবে সেখানে আসে? এই প্রক্রিয়াকেই সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং বা SEM বলে।

SEM দুই ধরনের হয়:

  • পেইড ফলাফল: এই ফলাফলগুলো দেখতে পাওয়ার জন্য ওয়েবসাইটের মালিককে গুগলকে টাকা দিতে হয়। এই ফলাফলগুলো সাধারণত সার্চ রেজাল্টের উপরে বা পাশে দেখা যায় এবং "Ad" লেবেলযুক্ত থাকে।
  • আনপেইড ফলাফল: এই ফলাফলগুলো পেতে কোন টাকা দিতে হয় না। এগুলো ওয়েবসাইটের কন্টেন্টের গুণমান এবং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) এর উপর নির্ভর করে আসে।

 

৩. কন্টেন্ট মার্কেটিং:

কন্টেন্ট মার্কেটিং মূলত স্টোরি-টেলিংয়ের মাধ্যমে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রচার। এটি হতে পারে ব্লগ পোস্ট, ভিডিও, বা অন্যান্য মাধ্যমের দ্বারা কনটেন্ট তৈরি করে টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছানোর একটি উপায়।

 

৪. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং:

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার (বর্তমানে এক্স) ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে মার্কেটিং করাই হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। এসব সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে কম খরচে টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস পৌঁছানো যায়।

 

৫. পে-পার-ক্লিক (PPC) এডভার্টাইজিং:

ধরুন আপনার একটা ওয়েবসাইট আছে। আপনি চান যাতে অনেক ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে আসে।

তখন আপনি গুগল বা অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিনে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। যখন কেউ সেই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে, তখন আপনাকে কিছু টাকা দিতে হবে।

কিন্তু এর ফলে আপনার ওয়েবসাইটে অনেক ভিজিটর আসবে। এটা যদিও দ্রুত ফলাফল দেয়, কিন্তু ব্যয়বহুলও হতে পারে।

 

৬. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং:

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো অন্য কারো পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি করে কমিশন হিসেবে অর্থ আয় করা। যারা এটা করে তাদেরকে অ্যাফিলিয়েটর বলা হয়। এটা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের একটা পার্ট।

 

৭. ই-মেইল মার্কেটিং:

ই-মেইল মার্কেটিং হচ্ছে ই-মেইলের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে পণ্য বা সার্ভিসের প্রচার করা।

আমরা যারা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে একাউন্ট খুলি তখন তারা আমাদের ই-মেইল কালেক্ট করে রাখে। পরবর্তীতে তারা আমাদেরকে সেই সকল ই-মেইলের মধ্য দিয়ে আমাদের কাছে সহজে রিচ করতে পারে।

যদিও বাংলাদেশে ই-মেইল চেক করার প্রবণতা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম।

 

অফলাইন মার্কেটিং

এই সেকশনে আমরা অফলাইন মার্কেটিং নিয়ে বিস্তারিত জানবো-

 

১. রেডিও মার্কেটিং:

রেডিও মার্কেটিং হচ্ছে, রেডিওর মাধ্যমে পণ্য বা সার্ভিসের প্রচার করা। যদিও এটি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের তুলনায় পুরোনো পদ্ধতি, তবুও এটি এখনও মোটামুটি কাজের।

 

২. টেলিভিশন মার্কেটিং:

টেলিভিশন বিজ্ঞাপন সাধারণভাবে বড় অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছানোর একটি প্রচলিত মাধ্যম, যদিও এটি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের তুলনায় কম লক্ষ্যভিত্তিক হয়।

 

৩. ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড মার্কেটিং:

রাস্তার পাশে আমরা যে ডিজিটাল বিলবোর্ডে বিজ্ঞাপন গুলো দেখি তাই হচ্ছে ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড মার্কেটিং। এটি সাধারণত উচ্চ ট্রাফিকযুক্ত এলাকায় কার্যকরী হয়।

 

৪. ফোন মার্কেটিং:

মোবাইল কল বা টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে সেবা বা পণ্য সম্পর্কে তথ্য পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে আমরা ফোন মার্কেটিং করতে পারি। এটি সরাসরি যোগাযোগের একটি পদ্ধতি। বর্তমানে বাংলাদেশে ফোন মার্কেটিংয়ের চল রয়েছে।

 

উল্লিখিত প্রত্যেক ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতির নিজস্ব কিছু সুবিধা এবং চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলোর সঠিক ব্যবহার নির্ভর করে আপনার ব্যবসার ধরণ এবং লক্ষ্য অনুসারে।

 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি?

ডিজিটাল মার্কেটিং দিন দিনই বদলে যাচ্ছে এবং এর ভবিষ্যৎও আরো উজ্জ্বল হচ্ছে। যারা এই ক্ষেত্রে কাজ করতে চান তাদের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত সুযোগ বলা যায়।

কিন্তু এই ক্ষেত্রে সফল হতে হলে আপনাকে সবসময় নতুন নতুন জিনিস শিখতে হবে এবং পরিবর্তনের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে।

আসুন দেখি আগামী দিনে ডিজিটাল মার্কেটিং কেমন হতে পারে:

  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI): AI মার্কেটিং আমাদের কাজগুলো আরও স্বয়ংক্রিয় করে দিবে। কন্টেন্ট তৈরি, বিজ্ঞাপন রান করা, গ্রাহকের আচরণ অ্যানালাইসিস করা ইত্যাদি কাজে AI এর ব্যবহার বাড়বে।
  • ভয়েস সার্চ: মানুষ আরো বেশি ভয়েস সার্চ ব্যবহার করবে। সিরি, অ্যালেক্সা এই ধরনের সার্চ ইঞ্জিনের ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে ভয়েস সার্চ অপটিমাইজেশন আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
  • ভিডিও মার্কেটিং: ভিডিও কন্টেন্টের জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে ভিডিও মার্কেটিং আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
  • পারসোনালাইজেশন: গ্রাহকদের ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী মার্কেটিং করা আরো সহজ হয়ে উঠবে।
  • ইন্টারেক্টিভ কন্টেন্ট: গেমিফিকেশন, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ইত্যাদি ইন্টারেক্টিভ কন্টেন্ট গ্রাহকদের সাথে আরো ভালো যোগাযোগ স্থাপন করতে হেল্প করবে।

 

ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয়

ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমানে ইনকাম এর একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট এবং প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে, ফলে এখান থেকে আয়ের সুযোগও তৈরি হয়েছে।

তবে এই খাতে সফলভাবে আয় করতে হলে উপরে উল্লিখিত অনলাইন মার্কেটিংয়ের কাজে পারদর্শী হতে হবে।

আর অনেকেই জানতে চান, ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি?

এক্ষেত্রে নির্দিষ্টভাবে বলা যাবে না, তবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে টার্গেট গ্রাহকদের কাছে বেশী পৌঁছানো সম্ভব হয়। তাই আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ভাল মত শিখতে পারেন।

 

বাংলাদেশের সেরা ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স

আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স বাংলা -তে করতে চান তাহলে আপনার জন্য রয়েছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম সেরা ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স দিচ্ছে বিদ্যাবাড়ি।

কোর্স: Digital Marketing কোর্স সমূহ

 

কেন এই কোর্স?

কোর্সটি সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় তৈরি, যা আপনাকে সহজবোধ্যভাবে শেখার সুযোগ করে দেবে। কোর্সের প্রতিটি বিষয়বস্তু দক্ষ ও পেশাদার প্রশিক্ষকদের দ্বারা তৈরী, যারা দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে আপনার পাশে থাকবে।

আপনি শিখতে পারবেন SEO, SEM, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, কন্টেন্ট মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং এবং আরও অনেক কিছু, যা বর্তমান বাজারে অত্যন্ত চাহিদাসম্পন্ন।

 

এই কোর্সের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কত টাকা লাগবে?

উপরুক্ত লিঙ্কে কয়েকটি কোর্স রয়েছে। আপনি ২,০০০/- টাকার মধ্যেই একটি কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন।

আপনি উল্লিখিত কোর্সে ভর্তি হয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখা শুরু করতে পারেন। আর ফ্রিতে শিখতে চাইলে আপনি ইউটিউবে অনেক ফ্রি ভিডিও পাবেন সেগুলো দেখে ব্যাসিক ধারণা নিতে পারেন।

 

FAQ: ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন: ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে?

উত্তর: ইন্টারনেট এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে পণ্য বা সার্ভিসের প্রচার করার পদ্ধতিকেই ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।

আপনি যখন কোন পণ্য কিনতে চান, তখন সবার আগে গুগলে সার্চ করেন। আপনার সামনে কতগুলো ওয়েবসাইট আসে। এগুলোই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর ফলাফল।

 

প্রশ্ন: ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ কি?

উত্তর: ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মূল কাজ হলো ইন্টারনেট ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে টার্গেট গ্রাহকদের কাছে পণ্য ও সার্ভিস প্রচার করা।

SEO, SEM, কন্টেন্ট মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, এবং আরও অন্যান্য কার্যক্রম ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত।

 

প্রশ্ন: মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যাবে কি?

উত্তর: হ্যাঁ, মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করা সম্ভব। বেশিরভাগ ডিজিটাল মার্কেটিং টুলস এবং প্ল্যাটফর্ম মোবাইলের জন্য উপযুক্ত।

আপনি মোবাইল ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, এবং অন্যান্য ডিজিটাল মার্কেটিং কার্যক্রম সহজেই পরিচালনা করতে পারেন।

 

প্রশ্ন: ডিজিটাল মার্কেটিং করতে কি কি লাগে?

উত্তর: ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য প্রয়োজন একটি ইন্টারনেট সংযোগ, একটি কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইস, এবং প্রয়োজনীয় ডিজিটাল মার্কেটিং টুলস বা সফটওয়্যার। পাশাপাশি, মার্কেটিংয়ের ব্যাসিক ধারণা এবং নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মের দক্ষতা থাকা জরুরি।

 

প্রশ্ন: ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে আনুমানিক কতদিন লাগে?

উত্তর: সাধারণত, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বেসিক কনসেপ্টগুলি শিখতে ৩ থেকে ৬ মাস সময় লাগে।

তবে নির্ভর করে আপনি কোন নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে দক্ষ হতে চান তার ওপর। পুরোপুরি দক্ষ হতে ৬ মাস থেকে ১ বছর বা তার বেশি সময়ও লাগতে পারে।

 

প্রশ্ন: ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য আমার কি কি শিখতে হবে? 

উত্তর: ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জন্য আপনাকে SEO, কন্টেন্ট মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, SEM, PPC (পে-পার-ক্লিক) এডভার্টাইজিং, ইমেইল মার্কেটিং, এবং অ্যানালিটিক্স সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

এছাড়াও, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং ডাটা অ্যানালাইসিসের মতো নতুন ট্রেন্ড সম্পর্কে ধারণা রাখতে পারলে ভাল হয়।

 

উপসংহার

ডিজিটাল মার্কেটিং কি, কেন এটি শিখবেন এবং কিভাবে শুরু করবেন আশা করি তা নিয়ে আপনার মনে থাকা অনেক প্রশ্নের উত্তর এই আর্টিকেলে পেয়েছেন।

বর্তমান সময়ে ব্যবসা বা পেশাগত উন্নতির জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং অবশ্যই ভাল একটি পেশা। এটি শুধু আপনার ব্যবসাকে দ্রুত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে না, বরং আপনাকে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার সুযোগ করে দেবে।

আশা করি আপনি দ্রুত একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে উঠবেন। আপনার যাত্রা সফল হোক—বিদ্যাবাড়ি টিমের পক্ষ থেকে শুভকামনা!

Leave A Reply

Allready have an account ? Sign in to leave a reply

Comments

Top Categories

BCS

5

All Jobs

0

Test

0

Digital Marketing

4

Search With Tags

Latest Blogs

BCS

বিসিএস সম্পর্কে প্রচলিত ১০টি ভুল ধারণা ও বিস্তারিত বিশ্লেষণ

Shaon |

18 November 2024

BCS

বিসিএস (BCS) পরীক্ষা পদ্ধতি: গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলো বিস্তারিতভাবে জানুন

Shaon |

17 November 2024

ডাউনলোড করুন

বিদ্যাবাড়ি App

180K+

Learners

4.7

Positive
Reviews

180+

Skill based Courses

ডাউনলোড করুন বিদ্যাবাড়ি অ্যাপ,
শুরু করুন এখান থেকেই