গ্রাফিক্স ডিজাইন (Graphics Design) কি? কত প্রকার? কেন ও কিভাবে শিখব? এই প্রশ্নগুলো আসলে অনেকের মনে ঘোরে, বিশেষ করে যারা নতুন গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে চান।
এখনকার ডিজিটাল যুগে, গ্রাফিক্স ডিজাইন বিভিন্ন ক্ষেত্রে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। আপনি যদি এটা শিখতে চান তাহলে কিভাবে শিখবেন এ নিয়ে সঠিক গাইড লাইন জানা প্রয়োজন।
আপনাদের সঠিক গাইড লাইন দেওয়ার জন্যই আমাদের আজকের এই আর্টিকেল। কি কি জানতে পারবেন এই আর্টিকেল থেকে চলুন একনজরে দেখে নিই-
- গ্রাফিক্স ডিজাইন কি?
- কি কি কাজে গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যবহার করা হয়?
- গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার?
- ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রাফিক্স ডিজাইন কেন এতো জনপ্রিয়?
- কেন শিখবেন গ্রাফিক্স ডিজাইন? এর ভবিষ্যৎ কেমন?
- একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের আয় কেমন?
- কিভাবে শিখবেন গ্রাফিক্স ডিজাইন?
- গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কত দিন লাগে?
- নতুনদের জন্য কিছু টিপস
গ্রাফিক্স ডিজাইন কি?
গ্রাফিক্স ডিজাইন হল ইমেজ এবং টেক্সট এর একটি মিশ্রণ যা কোনো আইডিয়া বা ম্যাসেজ সুন্দর ও আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরে।
যেমন ধরুন, আপনি কোনো কোম্পানির জন্য একটি সিম্বল (Symbol) তৈরি করছেন যাতে করে সবাই তাদের সহজে চিনতে পারে। এই সিম্বলকেই আমরা লোগো বলি, আর এটাই হল গ্রাফিক্স ডিজাইনের একটি সহজ উদাহরণ।
গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা বিভিন্ন ধরনের ইমেজ, কালার, এবং টেক্সট ব্যবহার করে এমন কিছু তৈরি করে যা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং কোম্পানি বা প্রোডাক্ট সম্পর্কে মানুষকে সঠিকভাবে বুঝাতে সাহায্য করে।
একটি ভালো ডিজাইন কোনো ব্র্যান্ডকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তোলে এবং মানুষের মনে একটি ইউনিক পরিচয় তৈরি করে। যখন কেউ ডিজাইন টা দেখবে তখনি বুঝতে পারবে এইটা কোন কোম্পানির লোগো।
যেমন, আপনি নিচের লোগো টা দেখা মাত্রই বুঝতে পারছেন এইটা কোন কোম্পানির লোগো।
কি কি কাজে গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যবহার করা হয়?
অনেকেই জানতে চান, গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো কি কি? গ্রাফিক্স ডিজাইন বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়। চলুন সংক্ষেপে গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যবহারের ক্ষেত্রগুলো দেখি-
১. বিজ্ঞাপন: প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রচারের জন্য পোস্টার, ফ্লায়ার, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, এবং ভিডিও বিজ্ঞাপন তৈরি করতে গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যবহার করা হয়।
২. ব্র্যান্ডিং: কোম্পানির লোগো, ভিজিটিং কার্ড, বা কর্পোরেট ডিজাইন তৈরি করার জন্যও গ্রাফিক্স ডিজাইন দরকার হয়।
৩. প্যাকেজিং ডিজাইন: পণ্যের প্যাকেজ বা বাক্সের জন্য আকর্ষণীয় ডিজাইন করতে গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যবহার করা হয়।
৪. ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ ডিজাইন: ইউজার ইন্টারফেস (UI) এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স (UX) ডিজাইন করতেও এটি ব্যবহার করা হয়।
৫. ইলাস্ট্রেশন ও আর্ট: বইয়ের কভার, টি-শার্ট, পোস্টার বা অন্যান্য শিল্পকর্ম ডিজাইনের ক্ষেত্রেও গ্রাফিক্স ডিজাইন এর বড় ভূমিকা আছে।
উল্লিখিত ক্ষেত্র ছাড়াও মোশন গ্রাফিক্স, ভিডিও এডিটিং, এবং এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইনের মতো আরও অনেক কাজেই গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যবহার করা হয়।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার?
গ্রাফিক্স ডিজাইন মূলত বিভিন্ন ধরণের হয়, এবং প্রতিটি ধরণের ডিজাইন ভিন্ন ভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। চলুন বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নিই -
১. বিজ্ঞাপন ডিজাইন (Advertising Design)
এটি এমন একটি ডিজাইন যেখানে পণ্য বা সার্ভিস প্রচারের জন্য পোস্টার, ফ্লায়ার, ম্যাগাজিন বিজ্ঞাপন, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ইত্যাদি তৈরি করা হয়। সাধারণত কোম্পানিগুলো কাস্টমারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এসব ডিজাইন ব্যবহার করে।
২. কর্পোরেট ডিজাইন (Corporate Design)
কর্পোরেট ডিজাইনের মাধ্যমে একটি কোম্পানির লোগো, ব্র্যান্ড কালার, টাইপোগ্রাফি ইত্যাদি তৈরি করা হয় যা ঐ ব্র্যান্ডের পরিচয় বহন করে। এর মাধ্যমে ব্যবসার মিশন, ভিশন এবং মান তুলে ধরা হয়।
৩. ইলাস্ট্রেশন ও আর্ট ডিজাইন (Art & Illustration Design)
এই ধরণের ডিজাইনে গ্রাফিক আর্ট ও ইলাস্ট্রেশন একসাথে ব্যবহৃত হয়। এটি পোস্টার, বইয়ের কভার, টি-শার্ট, এবং ভিডিও গেমের জন্য ডিজাইন করা হয়। এখানে সৃজনশীলতার পাশাপাশি আঁকার দক্ষতা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৪. পরিবেশগত গ্রাফিক্স ডিজাইন (Environmental Graphic Design)
এই ধরণের ডিজাইন বিভিন্ন স্থানের পরিবেশ সুন্দরভাবে প্রেজেন্ট করতে ব্যবহৃত হয়, যেমন- অফিসের ভিতরের সাজসজ্জা, মিউজিয়াম বা ইভেন্ট স্টেজ ডিজাইন।
৫. প্যাকেজিং ডিজাইন (Packaging Design)
প্রোডাক্ট সুরক্ষার পাশাপাশি গ্রাহকের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য প্যাকেজিং ডিজাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পণ্যের বাক্স, বোতল বা ব্যাগের ডিজাইনও এর মধ্যে পড়ে।
৬. প্রকাশনা ডিজাইন (Publication Design)
বই, ম্যাগাজিন, নিউজলেটার, বা ব্রোশিওরের জন্য প্রকাশনা ডিজাইন করা হয়। এর মধ্যে লেআউট ডিজাইন, টাইপোগ্রাফি এবং ছবি ব্যবহার করা হয়।
৭. ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন (UI Design)
UI ডিজাইন এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট বা অ্যাপের জন্য সহজ ও ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস তৈরি করা হয়। পরবর্তীতে ডেভেলপার এই ডিজাইন দেখে অ্যাপ/ওয়েবসাইট ডেভেলপ করে।
৮. মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইন (Motion Graphics Design)
মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইন মূলত চলমান চিত্র, অ্যানিমেশন বা ভিডিওর মাধ্যমে কোনো বার্তা পৌঁছে দেয়। এটি অনলাইন মিডিয়া, টিভি, এবং ভিডিও গেমে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
এছাড়া আরও কিছু বিশেষ ধরণের গ্রাফিক্স ডিজাইন আছে, যেমন স্টেশনারি ডিজাইন, বইয়ের কভার ডিজাইন ইতাদি।
ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রাফিক্স ডিজাইন কেন এতো জনপ্রিয়?
গ্রাফিক্স ডিজাইন ক্যারিয়ার এখন খুবই জনপ্রিয় কারণ বর্তমান সময়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের জন্য জবের সুযোগ এবং চাহিদা দুটোই অনেক বেশি।
ডিজিটাল মার্কেটিং, ব্র্যান্ডিং, এবং কনটেন্ট ক্রিয়েশন সব ক্ষেত্রেই গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে।
অনলাইন ব্যবসা, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, এবং ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রির প্রসার, গ্রাফিক্স ডিজাইনকে একটা স্টেবল এবং প্রফিটেবল ক্যারিয়ার হিসেবে গড়ে তুলেছে।
যারা ক্রিয়েটিভ কাজ করতে পছন্দ করেন এবং ভিজ্যুয়াল ডিজাইনে আগ্রহী, তাদের জন্য এটা খুবই ভালো একটা ক্যারিয়ার অপশন।
এছাড়া, ফ্রিল্যান্সিং বা রিমোট কাজের মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা যে কোনো জায়গা থেকে কাজ করতে পারেন।
কেন শিখবেন গ্রাফিক্স ডিজাইন? এর ভবিষ্যৎ কেমন?
গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার অনেক কারণ আছে। প্রথমত, এটা একটা ক্রিয়েটিভ স্কিল, যেটা আপনাকে নিজের আইডিয়া ভিজ্যুয়ালি প্রকাশ করার সুযোগ করে দেয়।
এছাড়াও, ডিজিটাল মার্কেটিং, বিজ্ঞাপন, সোশ্যাল মিডিয়া, এবং ওয়েবসাইট ডিজাইনের ক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর গুরুত্ব ক্রমশ বাড়ছে।
ফলে, গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা মানে চাকরির বাজারে আপনার জন্য অনেক দরজা খুলে যাচ্ছে।
এছাড়া, গ্রাফিক্স ডিজাইন এর ভবিষ্যৎও খুব উজ্জ্বল। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড যেমন বড় হচ্ছে, তেমনি ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের চাহিদাও বাড়ছে।
বিভিন্ন কোম্পানি, ফ্রিল্যান্স কাজ, এবং অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজের অফার প্রচুর।
সুতরাং, এটা শেখা মানে একটা স্টেবল এবং গ্রোথ-অরিয়েন্টেড ক্যারিয়ার তৈরি করা।
একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের আয় কেমন?
একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের আয় মূলত তার কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে। গ্রাফিক্স ডিজাইন করে অনলাইনে আয়ের অনেক উপায় আছে, যেমন ফ্রিল্যান্স কাজ, কনটেন্ট ক্রিয়েশন, ব্র্যান্ডিং, এবং সোশ্যাল মিডিয়া ডিজাইন।
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে একজন নতুন গ্রাফিক্স ডিজাইনার শুরুতে কম আয় করতে পারে, কিন্তু দক্ষতা বাড়ার সাথে সাথে তার ইনকামও বাড়ে।
একজন অভিজ্ঞ গ্রাফিক্স ডিজাইনার ভালো ক্লায়েন্ট পেলে মাসে কয়েক হাজার ডলারও আয় করতে পারে।
তবে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে কত টাকা আয় করা যায় তা পুরোপুরি নির্ভর করে কাজের পরিমাণ এবং ক্লায়েন্টের বাজেটের উপর।
ফ্রিল্যান্সিং ছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানিতে ফুল-টাইম গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেও একজন ডিজাইনার ভালো ইনকাম করতে পারে, এবং অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার উপর ভিত্তি করে এই আয়ের পরিমাণ আরও বাড়ে।
বাংলাদেশে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের শুরুতে সাধারণত প্রতি মাসে ১০-৩০ হাজার টাকা ইনকাম হতে পারে।
কিভাবে শিখবেন গ্রাফিক্স ডিজাইন?
কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখব এই প্রশ্নটা অনেকেই করেন, বিশেষ করে যারা একদম নতুন শুরু করতে চায়।
আপনার জন্য ভালো খবর হলো, আপনি খুব সহজেই গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারবেন, আর এর জন্য অনেক অপশনও আছে।
আপনি চাইলে নিজে নিজে ফ্রিতে শিখতে পারেন, অথবা পেইড কোর্স করেও শিখতে পারেন।
বিনামূল্যে বা ফ্রিতে শিখুন গ্রাফিক্স ডিজাইন
যদি আপনার বাজেট কম থাকে বা বিনামূল্যে শিখতে চান, তাহলে ইউটিউব এবং বিভিন্ন ব্লগ হতে পারে আপনার প্রথম স্টেপ।
ইউটিউবে প্রচুর টিউটোরিয়াল আছে যেগুলো ফলো করে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন এর বেসিক থেকে শুরু করে অ্যাডভান্স লেভেল পর্যন্ত শিখতে পারবেন। নিচে কিছু চ্যানেলের নাম দেওয়া হলো-
- The Futur
- Satori Graphics
- Dansky
- Will Paterson
- Tutvid
- PiXimperfect
- Yes I'm a Designer
পেইড কোর্স করার মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখুন
যদি আপনি প্রফেশনালি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে চান, তাহলে একটি অনলাইন কোর্স করতে পারেন।
অনেক পেইড কোর্স আছে, যেগুলো আপনাকে প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম যেমন- Udemy, Coursera, Skillshare ইত্যাদিতে এই ধরনের কোর্স পাওয়া যায়। তবে এসব প্লাটফর্ম থেকে শিখতে হলে আপনাকে ইংরেজি ভাল জানতে হবে।
আপনি যদি বাংলায় শিখতে চান এবং ঘরে বসে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার উপায় খুঁজে থাকেন তাহলে আপনি নির্দ্বিধায় বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন প্লাটফর্ম বিদ্যাবাড়ি থেকে অনলাইনে কোর্স করতে পারেন।
কোর্স লিংক: Career with Graphic Design Live Batch-2
এই গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স এর ফি কত বা কোর্স সম্পর্কিত অন্যান্য সকল বিস্তারিত তথ্য উপরে দেওয়া লিঙ্ক ভিজিট করে জেনে নিন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কত দিন লাগে?
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কত দিন লাগতে পারে? এটা আসলে বিভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে।
যদি আপনি একদম নতুন হন, তাহলে বেসিক স্কিল গুলো আয়ত্ত করতে কয়েক মাস লাগতে পারে। সাধারণত, ফ্রি টিউটোরিয়াল বা অনলাইন কোর্স থেকে বেসিক স্কিল নিতে ৩-৬ মাস লাগতে পারে।
যদি আপনি আরও ডিটেইলেড এবং প্রফেশনাল স্কিলড হতে চান, তাহলে একটু বেশি সময় লাগতে পারে।
সাধারণভাবে, একটি সম্পূর্ণ কোর্স করতে ৬ মাস থেকে ১ বছর লাগতে পারে, আর এর মধ্যে যদি আপনি নিয়মিত প্র্যাকটিস করেন এবং প্রোজেক্টে কাজ করেন, তাহলে আপনি দ্রুতই শিখতে পারবেন।
এছাড়া, আপনার আগ্রহ, সময়, এবং লার্নিং স্পিডের উপরও নির্ভর করে কত তাড়াতাড়ি আপনি একজন দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে উঠবেন।
নতুনদের জন্য কিছু টিপস
নতুন গ্রাফিক্স ডিজাইনিং শুরু করতে চাইলে বা শুরু করলে আপনার জন্য কিছু টিপস নিচে দেওয়া হলো যা আপনার কাজে আসবে আশা করি-
১. প্র্যাকটিস করুন: গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো প্রচুর প্র্যাকটিস করা। নতুন নতুন ডিজাইন তৈরি করুন, বিভিন্ন টুল ব্যবহার করুন এবং নিয়মিত কাজ করুন।
২. অনলাইন রিসোর্স ব্যবহার করুন: ইউটিউব, ব্লগ, এবং ডিজাইন কমিউনিটি থেকে ফ্রি টিউটোরিয়াল এবং গাইড নিন। এগুলো আপনার স্কিল বাড়াতে সাহায্য করবে।
৩. নেটওয়ার্কিং করুন: ডিজাইন ফোরাম এবং সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপে যোগ দিন। অন্য ডিজাইনারদের সাথে যুক্ত হোন এবং তাদের কাজ দেখে শিখুন।
৪. ফিডব্যাক নিন: আপনার ডিজাইন শেয়ার করুন এবং ফিডব্যাক নিন। এতে করে আপনি আপনার কাজের গুণগত মান উন্নত করতে পারবেন।
৫. টুলস শিখুন: অ্যাডোবি ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, ফিগমা ইত্যাদি জনপ্রিয় গ্রাফিক্স ডিজাইন টুলসের ব্যবহার শিখুন। এগুলোর সাথে পরিচিত হলে কাজ আরও সহজ হবে।
৬. নিজের পোর্টফোলিও তৈরি করুন: আপনার ডিজাইন কাজগুলো একত্রিত করে একটি পোর্টফোলিও তৈরি করুন। এটি আপনার স্ক্রিল প্রদর্শন করবে।
শেষ কথা
আমরা আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনাদের গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে একটি পরিষ্কার ধারণা দিয়েছে এবং আপনাদের শিখতেও উৎসাহিত করেছে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কি, কত প্রকার, কেন শিখবেন এবং কিভাবে শিখবেন এসব প্রশ্নের উত্তরও পরিষ্কারভাবে এই আর্টিকেল থেকে পেয়েছেন।
এমন আরও আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত বিদ্যাবাড়ির ওয়েবসাইট biddabari.com ভিজিট করুন। বিদ্যাবাড়ির সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
Comments